পাতা:কিশোর - জলধর সেন.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কণমর্দন-কাহিনী নিতান্ত কম নম্বর পাইতাম না । কিন্তু আমার যত গোল ঐ অঙ্কের বেলায়। আমি পাটীগণিতে প্ৰায়ই রসগোল্লা পাইতাম, কোন কোন বার হয় ত সৌভাগ্যক্রমে এক আধটা সামান্য-ভগ্নাংশের অঙ্ক কেমন করিয়া ঠিক হইত ; তাই আট দশ নম্বর পাইতাম । ক্ষেত্ৰতত্ত্বের কোন তত্ত্বই স্থির করিতে পারিতাম না ; জ্যামিতির গাধার সেতু ( Ass's bridge ) আমি কোন দিনই পার হইতে পারি নাই ; সমীচতুভুজ সমাচতুরস্ৰ শুনিলেই আমি চতুভূজ মূৰ্ত্তি দেখিতাম । আমাদের শ্রেণীতে গণিত শিক্ষা দিবার ভার ছিল দ্বিতীয় পণ্ডিত মহাশয়ের উপর। যে দিন তিনি স্কুল কামাই করিতেন, সে দিন আমি হাঁপা ছাড়িয়া বাচিতাম ; মনে হইত, যাক একদিনের জন্য ত “গান্ধা’ ‘বোকা’ প্ৰভৃতি সুমধুর সম্বোধন হইতে মুক্তিলাভ করিলাম ! আমাদের দ্বিতীয় পণ্ডিত মহাশয় লোকটি ভাল ছিলেন। আমি যে অঙ্কশাস্ত্রে এমন পণ্ডিত ছিলাম, তবুও তিনি কোন দিন আমাকে প্ৰহার করেন নাই, গালাগালি পৰ্য্যন্তই তঁাহার শাসনের সীমা ছিল । কোন দিনই কোন ছাত্রের শরীরে তিনি হস্তাপণ করেন নাই । কিন্তু তাহার বাক্য-যন্ত্রণাতেই ছেলেরা লজ্জায় মরিয়া যাইত। সুধু আমারই লজ্জা হইত না; আমি কিছুতেই পাটিগণিত বা ক্ষেত্ৰতত্ত্বের তত্ত্ব নির্ণয় করিতে VS