পাতা:কুন্তলীন পুরস্কার.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মফল । 9 বিধু। তা ত জানি, কিন্তু-আচ্ছা তোমার মেসো ত তোমাকে জন্মদিনের উপহার দিয়ে থাকেন এবারকার জন্য একটা নিমন্ত্রণের পোষাক তঁর কাছ হতে জোগাড় করে নাওনা । কথায় কথায় তোমার মাসীর কাছে একটু আভাস দিলেই হয়। সতীশ । সে ত অনায়াসেই পারি। কিন্তু বাবা যদি টের পান আমি মেসোর কাছ হইতে কাপড় আদায় করেছি তা হলে রক্ষা থাকিবে না । বিধু। আচ্ছা, সে আমি সামলাতে পারব। (সতীশের প্ৰস্থান ) ভাদুড়ি সাহেবের মেয়ের সঙ্গে যদি সতীশের কোন মতে বিবাহের জোগাড় হয় তা হলেও আমি সতীশের জন্য অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারি। ভাদুড়ি সাহেব ব্যারিষ্টার মানুষ, বেশ যুক্ত দশ টাকা রোজগার করে । ছেলেবেলা হতেই সতীশ ত ওদের বাড়ী আনাগোনা করে, মেয়েটি ত আর পাষাণ নয়, নিশ্চয় আমার সতীশকে পছন্দ করবে । সতীশের বাপ ত এ সব কথা একবার চিন্তাও করেন না, বলতে গেলে আগুন হয়ে ওঠেন, ছেলের ভবিষ্যতের কথা আমাকেই সমস্ত ভাবতে হয়। ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । মিষ্টার ভাদুড়ির বাড়ীতে টেনিসক্ষেত্র । নলিনী । ও কি সতীশ পালাও কোথায় ? সতীশ । তোমাদের এখানে টেনিসপাটি জানতেম না, আমি টেনিসসুট পরে আসিনি !