পাতা:কুমারসম্ভব কাব্য - দীননাথ সান্যাল.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( & ) দক্ষালয়ে যিনি “সতী”, এখন হিমালয়ে তিনিই “পাৰ্ব্বতী” । সেই সতী-লীলায় যিনি পতি ছিলেন, এই পাৰ্ব্বতী-লীলাতেও তিনিই পতি হইবেন —অন্য কেহই না। রূপে তাহাকে মিলিল না, দূর হউক রূপ। তপে তাহাকে মিলিতে পারে । তপেও তাহাকে না মিলে, তবে তপেই বরং "দেহত্যাগ শ্রেয়, তবু অস্য পতি চাই না, ইন্দ্রাদি কাহাকেও না –ইহাই পাৰ্ববতীর প্রেমিকতা ; এবং ইহাই হিন্দুধৰ্ম্মে দাম্পত্য-প্রেমের “একমেবাদ্বিতীয়ম”-ভাব। রামের সতী যখনই হৃদয়-বেদনায় কাতর হইয়াছেন, তখনই তাহার মনে,—“জন্মজন্মান্তরে যেন রামকেই পতি পাই”—এই ভাব উদ্বেলিত হইয়া উঠিয়াছে । ইহা সতীমাত্রেরই মনের ভাব । এই সুমহান ভাবটকে মজ্জা করিয়া পুরাণের ঐ হরপার্বতী-পরিণয়কাহিনী গঠিত। প্রেমের পূর্বরাগের অপূর্ব প্রগাঢ়তাই ইহার প্রাণ ! তার পর, রূপের ব্যর্থতায়, এবং কামের ধ্বংসে ইহার বিশুদ্ধতা সম্পাদন করিয়া, অবশেষে তীব্রতপের সাধনে ইহার উৎকর্ষ দেখান হইয়াছে । প্রেমের এই পরমতত্ত্বটুকু ঐ পুরাণ-কাহিনীতে আছে বলিয়াই, কালিদাস ঐ সমগ্র কাহিনীটকে অক্ষুণ্ণ-ভাবে তাহার কাব্যের বস্তু-স্বরূপে গ্রহণ করিয়া, তাহার অনুপম তুলিকায় উছার সর্বাঙ্গীন পরিপুষ্টি সাধন করিয়াছেন । এ কাব্যে কালিদাসের কৃতিত্ব ঐ পরিপুষ্টি সাধনে। পুরাণ-কাহিনীতে বাছ কেবল উল্লেখ মাত্র, কালিদাসের কাব্যে তাহ অপূর্ব বর্ণনায় পরিণত ; পুরাণে বর্ণনা যেখানে তরল, কালিদাস