సిరి : কুমারসম্ভব কাব্য। ১৮ । কিছুকাল পরে যখন পার্ববর্তী দেখিলেন যে, এপৰ্য্যন্ত-অনুষ্ঠিত তপঃ-সমাধি দ্বারা বাঞ্ছিত ফললাভ করিতে সক্ষম হইলেন না, তখন অবিলম্বে তিনি নিজদেহের সোঁকুমাৰ্য্য মনে গণনা না করিয়াই দুশ্চর তপঃসাধনে প্রবৃত্ত হইলেন । [ পাৰ্ব্বতী তখন একবারও ভাবিয়া দেখিলেন না যে, তাহার সুকুমার দেহ দুশ্চর তপশ্চরণে সক্ষম হইবে, কি, না । ইহাকেই বলে— “মন্ত্রের সাধন, কিম্বা শরীর-পাতন।” ] ১৯ । যে পার্ববর্তী কন্দুক-ক্রীড়াতেও ক্লাস্তি বোধ করিতেন, তিনি আজ মুনিদিগেরই সাধ্য দুস্তর তপঃ সাগরে নিমগ্ন হইলেন—নিশ্চয়ই পাৰ্ববতীর দেহ কাঞ্চন-পদ্মে গঠিত – সুতরাং পদ্ম-স্বভাবে মৃদু হইলেও, কাঞ্চন-স্বভাবে সসার ( কঠিন )। حمه [ ‘কাঞ্চন-পদ্মে গঠি s’ বলায় বুঝিতে হইবে—কাঞ্চন ও পদ্মে গঠিত, কাঞ্চনের পদ্মে গঠিত নহে। সোণার পদ্মে মৃদ্ধত্বগুণ থাকিবে • ८कभन कद्भिन्नं ? so পদ্মের মৃদ্ধতা ও কাঞ্চনের কাঠিন্ত দুই-ই এককালে পাৰ্ব্বতীতে বিস্তমান-পাৰ্ব্বতীর দেহ যেমন মুকুমার, তেমনই তীব্রতপঃ-ক্ষম! ] ২০ । গ্রীষ্মে, স্বমধ্যম পার্ববর্তী পবিত্ৰহস্তি-বদনে, চারি দিকে জলন্ত অগ্নি-চতুষ্টয়ের মধ্যবর্তী হইয়া, নেত্রনাশ-কারী
