পাতা:কুমারসম্ভব কাব্য - দীননাথ সান্যাল.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( a ) * * সেখানে প্রগাঢ়তা ঢালিয়া দিয়াছেন ; পুরাণে যাই রেখাঙ্কিত, কালিদাস তাহাকে বিচিত্র বর্ণে সমুস্তাসিত করিয়া, সুদক্ষ শিল্পীর স্যায়, এই কাব্যখানিকে সৰ্ব্বত্র সমুজ্জ্বল করিয়াছেন। ইহা প্রেমের এক পরমস্বন্দর মহাচিত্ৰ ! যে স্বভাব-চিত্রণে কালিদাস জগতে অদ্বিতীয়, এ কাব্যে তাহারও সুন্দর পরিচয় পাওয়া যায়। কালিদাসের স্বভাব-চিত্র জড়চিত্র নহে ;—উহা সৰ্ব্বাংশেই ভাবময় ও চেতনাময়। বাহ জগতের ঐ ভাব ও চেতনার ঝঙ্কারে অন্তর্জগতে অনুরূপ ভাব ও চেতনার তন্ত্রীগুলি ঝঙ্কত এবং সুপ্ত অনুভূতিগুলি জাগ্রত হইয়া উঠে । তখন অন্তর্জগৎ, বহির্জগতের সহিত একই তানে রণিত হইতে থাকে এবং একই তালে নাচিতে থাকে। বাহিরের সহিত অন্তরের এই একতানত্বেই এবং এই একতালত্বেই অন্তরের আনন্দ ;—সুতরাং মানব-হৃদয়ে উহাই বাহ্যজগতের “সৌন্দৰ্য্য”। এই সৌন্দর্ঘ্যের অনুভূতিতেমন বহির্জগতের সহিত একপ্রাণ হইয়া পড়ে । যেমন অন্তরের,সহিত অন্তরের একপ্রাণত-সাধনে মানব-হৃদয়ে প্রেমের প্রতিষ্ঠা, তেমনই বহির্জগতের সহিত অন্তর্জগতের এই এক প্রাণত-সাধনেই মানবহৃদয়ে সৌন্দর্য্যের প্রতিষ্ঠা । “প্রেম” ও “সৌন্দর্য্য”— এই দুইটী অনুভূতিই মানব-হৃদয়ের পরম উপাদেয় উপাদান-বস্তু,মানব-মনের মহাভাব ; সুতরাং এই দুয়ের পরম উৎকর্ষ সাধনই কবিদিগের চরম লক্ষ্য । এই দুই মহাভাবে যিনিই অনুপ্রাণিত, তিনিই মহাভাবুক ; এই দুই মহাভাবকে যিনিই সুচিত্রিত করিয়া