দ্বিতীয় সর্থ। । . . రిe: কেবল ততদিন মাত্র নিজ জলাভ্যন্তরে রাখিয়া, অতি আগ্রহের সহিত ( পরিপাক-কাল ) প্রতীক্ষা করিয়া থাকেন – [ উৎকৃষ্ট মুক্তাদি রত্ন সকল যেই পরিপক্কাবস্থা প্রাপ্ত হয়, অমনি কিঞ্চিম্মাত্র কাল-বিলম্ব না করিয়া তৎক্ষণাৎ তাহ তারকাস্থরকে উপঢৌকন দিতে হয় । সরিৎপতির এই অবস্থা ! ] ৩৮ —“বাস্তুকি-প্রমুখ সিদ্ধ-সপগণকে তাহদের শিরঃস্থ উজ্জ্বল-মণি-প্রভা দ্বারা রাত্রিকালে তারকাসুরের চারি পার্শ্বে স্থির প্রদীপের কার্য্য করিতে হইতেছে — বাস্তুকি প্রভৃতি শ্রেষ্ঠ সৰ্প সকলকে তাহাদের মাথার মণির প্রভা দ্বারা তারকের আলোকসেবা করিতে হইতেছে। মণির আভা বলিয়া উহা “স্থির” অর্থাৎ অকম্প ও অনিৰ্ব্বেয় প্রদীপ । ] ৩৯।—“( অধিক কি ), দেবরাজ ইন্দ্রকেও তারকাসুরের অনুগ্রহাপেক্ষী হইয়া, ঘন ঘন দূত দ্বারা কল্পদ্রুম-প্রসূন পাঠা ইয়া, তাহার মনস্তুষ্টি-সাধন করিতে হইতেছে — [ কল্পবৃক্ষের ফুল মুহুমূহু না পাঠাইলে ইন্দ্রেরও রক্ষা নাই ! দেবরাজের পক্ষে কি বিষম শোচনীয় দশা । ] ৪০ —“রবি-শশী-পবনাদি এইরূপে তাহাকে সেবা করিতেছে, তবু সে ত্রিভুবনকে পীড়ন করিতে নিরস্ত হইতেছে না। প্রত্যপকার দ্বারাই দুর্জন শান্ত হয় ; উপকার করিয়া দুৰ্জ্জনকে কখনই শাস্ত করা যার না –
