পাতা:কুমারসম্ভব কাব্য - দীননাথ সান্যাল.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૬૪ কুমারসস্তব কাব্য । যে সেই রমণী লজ্জাত্যাগ করিয়া স্বয়ং আসিয়া আপনার কণ্ঠে তাহার বাহু সংলগ্ন করে, তাহাও বলুন।— [ এখানে ইন্দ্রের পরদারিকত্বের প্রতি তীব্র কটাক্ষ লক্ষ্য কর। এই “লোল-চিত্ত” ইন্দ্রই ছলনা করিয়া অহল্যা-গমন করিয়াছিলেন। পূৰ্ব্বোক্ত তিনট শ্লোক দ্বারা ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম, ও মোক্ষ এই চতুৰ্ব্বৰ্গেই মদনের অধিকার ও অসাধ্য-সাধন-ক্ষমতা স্থচিত হইয়াছে। ] ৮ —“হে কাম-পীড়িত ! স্থরতাপরাধ-হেতু কুপিতা, এমন কোন রমণীর পদানত হইয়াও আপনি তৎকর্তৃক তিরস্কৃত হইয়াছেন, বলুন ?—আমি তাহার দেহকে গাঢ় অনুতাপে দগ্ধ করিয়া প্রবাল-শয্যায় শরণ লওয়াই ।— [ “প্রবল-শয্যা” অর্থাৎ নর-পল্লব-শয্যা ; শীতলতা-হেতু তাপিত দেহের শরণোপযোগী। এই জন্তই কাব্যাদিতে নব-পল্লব-শয্যা বিরহসন্তাপিতাদিগের আশ্রয়-স্থান । ] ৯ —“হে বীর । আপনি প্রসন্ন হউন ; আপনার বজ্রও বিশ্রাম করুক। দৈত্য-দানবাদি মধ্যে যে কোন জন স্বরারি, আমার এই পুষ্প-বাণের আঘাতে তাহার বাহুবীৰ্য্য বিফল করিয়া তাহাকে এমন (নিস্তেজঃ ও কাপুরুষ) করিব যে, সে কোপম্ফরিতাধর স্ত্রীলোক দেখিয়াও ভীত হইবে – [ “প্রসন্ন হউন" অর্থাৎ নির্ভাবনা হউন । “বজও বিশ্রাম করুক”—ইহা দ্বারা কুসুম-বাণের বজ্রাধিক-ক্ষমতা o মদন-মুখে অতি-দপে প্রকাশিত হইয়াছে । ]