গ্রহের প্রত্যাশা করিয়া থাকেন এবং সেই উদ্দেশে বারংবার লোক পাঠাইয়া কল্পবৃক্ষ সমুৎপন্ন পুষ্প-রাশি তাহার নিকট প্রেরণ পূর্ব্বক তাহার চিত্তানুবর্ত্তন করিয়া থাকেন।॥ ৩৯॥
এই রূপে সকলেই তাহার সেবা করে, তথাপি সে ত্রিভুবনের উপর অত্যাচার করিতে বিরত হয় না। দুষ্ট লোকের স্বভাবই এই, সে সদ্ব্যবহার করিলে ক্ষান্ত হয় না, প্রতিফল পাইলেই সুস্থির হয়॥ ৪০॥
নন্দন কাননের যে সকল তরুর পল্লব গুলি দেব নারীরা কোমল কর-পল্লব দ্বারা দয়ার সহিত তুলিয়া লইতেন, সেই সমস্ত তরু বর্গ আজি তারকাসুরের দৌরাত্ম্যে ছেদন ও পতন যে কি, তাহা অনুভব করিতেছে॥ ৪১॥
সেই অসুর যখন নিদ্রা যায়, যুদ্ধে বন্দীকৃত দেবনারীরা তাহাকে চামর ব্যজন করিয়া থাকে, তখন সেই চামরের বায়ু ও তাহাদিগের দীর্ঘ নিশ্বাস এক হইয়া যায় এবং তাঁহাদিগের অশ্রুবারি বিন্দু বিন্দু হইয়া চামর হইতে বর্ষণ হয়॥ ৪২॥
সুমেরু পর্ব্বতের যে সকল অত্যুন্নত শিখরের উপর সূর্য্যের গমনের সময় তাঁহার রথের অশ্বেরা খুরাঘাত করিয়া থাকে, তারকাসুর সেই গুলি ভঙ্গ করিয়া আপনার গৃহে ক্রীড়াপর্ব্বত রচনা করিয়াছে॥ ৪৩॥
স্বর্গ গঙ্গা মন্দাকিনীতে এখন জল মাত্র আছে, তাহাও আবার স্নানাবতীর্ণ দিগ্গজদিগের মদজল সংস্রবে কলুষিত হইয় থাকে। পূর্ব্বে তথায় যে স্বর্ণ কমলিনী ছিল, এখন তারকাসুরের পুষ্করিণীই উহার আধার হইয়াছে॥ ৪৪॥