পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
তৃতীয় সর্গ।
৩৩

হইল। আর রমণীরা যে নূপুরধ্বনি করিয়া উহাকে তাড়না করিবে, তাহার অপেক্ষা রহিল না॥ ২৬॥

 নবীন আম্রমুকুল কন্দর্পের বাণ, উভয় পার্শ্বে সমুৎপন্ন নবপল্লব সেই বাণের পত্র আর বসন্ত কামদেবের বাণ নির্ম্মাতা, তিনি উল্লিখিত বাণ নির্ম্মাণ শেষ করিয়া তাহাতে যেন কামদেবের নামের অক্ষর স্বরূপ ভ্রমরপঙ্‌ক্তি বসাইয়া দিলেন॥ ২৭॥

 কর্ণিকার পুষ্পের বর্ণ অতি চমৎকার, কিন্তু গন্ধ না থাকাতে দুঃখের বিষয় হইল। বিধাতার কেমনি আগ্রহ যে কোন বস্তুকে সর্ব্বপ্রকারে সুসম্পন্ন করেন না॥ ২৮॥

 বনস্থলীরা যেন বসন্তের নায়িকা, বসন্তের সহিত সমাগম হইয়া উহাদের অঙ্গে যেন নখক্ষত হইয়াছিল, সম্পূর্ণ প্রস্ফুটিত না হওয়াতে নবীন চন্দ্রকলার ন্যায় বক্রাকৃতি অতি রক্তবর্ণ পলাশপুষ্পগুলি সেই নখ ক্ষতের ন্যায় প্রতীয়মান হইতে লাগিল॥ ২৯॥

 যেমন কোন রমণী অঞ্জনের তিলক মুখে রচনা করিয়া অধরে অলক্তকরস লেপন করে, তদ্রূপ বসন্তলক্ষ্মী তিলক নামক পুষ্পের উপর ভ্রমরের পঙ্‌ক্তি বিন্যাস পূর্ব্বক প্রভাত সূর্য্যের ন্যায় পরম সুন্দর বর্ণের দ্বারা চূতপল্লব রূপ অধরোষ্ঠ অলঙ্কত করিলেন॥ ৩০॥

 পিয়াল বৃক্ষের মঞ্জরীতে যে পরাগ হয়, তাহার কণা হরিণদিগের চক্ষে পতিত হওয়াতে উহার অন্ধ প্রায় ও বাসন্তিক মদে উন্মত্তপ্রায় হইয়া বনভূমির উপর বায়ুর বিপরীত

(৫)