আপনারা ত অবগতই আছেন যে আমার নিজের জন্য কোন কার্য্য করা হয় না—দেখুন না কেন, আমার অষ্ট মূর্ত্তির বিষয় পর্য্যালোচনা করিলেই আপনারা বুঝিতে পারিবেন যে তাবৎ কার্য্যই আমার পরার্থে॥ ২৬॥
আমার এই রীতি জানিয়া, যেমন চাতকেরা পিপাসায় কাতর হইয়া মেঘের নিকট বৃষ্টি প্রার্থনা করে, তদ্রূপ দেবতারা বিপক্ষের নিকট পরাভব প্রাপ্ত হইয়া আমার নিকট, সন্তান কামনা করিয়াছেন॥ ২৭॥
অতএব যেরূপ যজ্ঞ-করণোদ্যত ব্যক্তি অগ্নি নিষ্কাশিত করিবার নিমিত্ত অরণি নামক অগ্নিমন্থন-কাষ্ঠ আহরণ করেন, তদ্রূপ পুত্র উৎপাদন করিবার জন্য আমার ইচ্ছা হইয়াছে যে পার্ব্বতীকে সংগ্রহ করি॥ ২৮॥
আপনাদিগকে হিমালয়ের নিকট আমার জন্য পার্ব্বতী প্রার্থনা করিতে হইবেক। এ বিষয়ে আপনাদিগকে অনুরোধ করিবার তাৎপর্য্য এই যে, সাধু লোকে থাকিয়া বিবাহের সম্বন্ধ ঘটনা করিয়া দিলে তাহা পরিণামে ক্লেশদায়ক হয় না॥ ২৯॥
দেখুন হিমালয় লোকটী উন্নত, সদাচারী, এবং পৃথিবীর ভার ধারণ করিতেছেন। অতএব তাঁহার গৃহে এ সম্বন্ধ ঘটনা হইলে আমারো মানের লাঘব নাই॥ ৩০॥
কন্যার জন্য এই কথা বলিরেন ইহা আর আমি আপনাদিগকে উপদেশ দিতে চাহি না। কারণ আপনারা যে আচারের উপদেশ দেন, তাহাই সাধুলোকের নিকট প্রমাণস্বরূপ পরিগৃহীত হয়॥ ৩১॥