তিনি ব্যগ্র হইলেন, যেহেতু প্রিয় ব্যক্তি দর্শন করিলেই স্ত্রী লোকের বেশ ভূষার সাফল্য হয়॥ ২২॥
তদনন্তর জননী মেনকা মঙ্গলের জন্য এক অঙ্গুলিতে হরিতাল-রস অপর অঙ্গুলিতে মনঃশিলা নামক ধাতুরস গ্রহণ পূর্ব্বক দন্তপত্র নামক সুনির্ম্মল কর্ণভূষণে শোভমান পার্ব্বতীর মুখ উন্নত করিয়া, তাঁহার ললাটে বিবাহের তিলক রচনা করিয়া দিলেন, উহা দেখিলে মনে হয় যেন পার্ব্বতীর যৌবনের আবির্ভাব অবধি জননীর মনে সর্ব্ব প্রথম যে অভিলাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাইতেছিল, তাহাই তিলক রূপে প্রকাশ হল॥ ২৩। २8॥
পরে অশ্রুজলে আবৃত লোচনা হইয়া মেষলোমময় বিবাহের হস্তসূত্র বাঁধিয়া দিলেন, তাহা প্রথমে যথাস্থানে সন্নিবেশিত হয় নাই, যেহেতু চক্ষের জলে তাঁহার দৃষ্টি অপরিষ্কার হইয়াছিল, কিন্তু পার্ব্বতীর ধাত্রী উহাকে যথাস্থানে সরাইয়া দিলেন॥ ২৫॥
নবীন দুকূল পরিধান করিয়া এবং অভিনব দর্পণ হস্তে ধারণ করিয়া তাঁহার তেমনি আশ্চর্য্য শোভা হইল, যেন ক্ষীর সাগরের জলে পুঞ্জ পুঞ্জ ফেণ উদয় হইয়াছে, যেন শরদের রজনী পূর্ণ শশধর প্রাপ্ত হইয়াছে॥ ২৬॥
আবশ্যক কি কি কার্য্য করিতে হইবেক তদ্বিষয়ে সুবিজ্ঞ জননী বংশের গৌরবস্বরূপা সেই পার্ব্বতীকে পূজিত কুলদেবতাদিগকে প্রণাম করাইয়া এক এক করিয়া পতিব্রতাগণের চরণ বন্দনা করাইলেন॥ ২৭॥