পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সপ্তম সর্গ।
৯৫

 প্রণাম কালে উমাকে তাঁহারা এই বলিয়া আশীর্ব্বাদ করিলেন, যে স্বামীর সমগ্র প্রেমের পাত্র-ভূত যেন তুমি হও। পার্ব্বতী কিন্তু শিবের অর্দ্ধাঙ্গ পর্য্যন্ত প্রাপ্ত হইয়া তাঁহাদিগের স্নেহ-যুক্ত আশীর্ব্বাদের অনেক অতিরিক্ত সৌভাগ্য প্রাপ্ত হইয়াছিলেন॥ ২৮॥

 যেমন আশয় ও যেমন বিভব, তদুপযুক্ত সমারোহের সহিত গিরিরাজ পার্ব্বতীর বিবাহের আনুষঙ্গিক সকল কর্ম্ম সম্পন্ন করিয়া সুহৃন্মণ্ডলী-পরিবৃত হইয়া সভায় উপবেশন পূর্ব্বক শিবের আগমনের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন॥ ২৯॥

 সেই সময়ে কৈলাস পর্ব্বতেও সপ্ত মাতৃকারা পরম সমাদরে ত্রিপুরারি শিবের সমক্ষে সেই সর্ব্ব প্রথম বিবাহের উপযুক্ত নানাবিধ অলঙ্কার রাখিয়া দিলেন॥ ৩০॥

 মাতৃকাদিগকে সম্মান করিবার জন্য শিব সেই সমস্ত অলঙ্কার স্পর্শ মাত্র করিলেন। পরন্তু তাঁহার চির-পরিগৃহীত সজ্জাই এখন ঐশ্বরিক ক্ষমতা বলে বিবাহের উপযুক্ত এক নূতন মূর্ত্তি ধারণ করিল॥ ৩১॥

 তাঁহার শরীরস্থিত ভস্মই শ্বেতচন্দন হইয়া উঠিল, মস্তকস্থিত নরশির নির্ম্মল শিরোভূষণের শোভা পরিগ্রহ করিল; আর তাঁহার পরিধানভূত হস্তিচর্ম্মই চতুঃপার্শ্বে রোচনাচিহ্নে চিহ্নিত দুকূল রূপে পরিণত হইল॥ ৩২॥

 আর তাঁহার ললাটে যে তৃতীয় লোচন জাজ্জ্বল্যমান ছিল, যাহার মধ্যস্থলে নির্ম্মল পিঙ্গল বর্ণ তারা বিরাজ করিতেছিল,