সপ্ত মাতৃকা প্রভুর পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন, নিজ নিজ বাহনের গমন প্রযুক্ত তাঁহাদিগের কর্ণের কুণ্ডল দুলিতে লাগিল, আর পদ্ম সদৃশ মুখের চতুঃপার্শ্বে পরাগেরন্যায় মণ্ডলাকার প্রভা দৃষ্ট হইল, তাহাতে আকাশ পদ্মে আকীর্ণ বলিয়া জ্ঞান হইল॥ ৩৮॥
সুবর্ণ-তুল্য কান্তি-বিশিষ্ট সেই সপ্তমাতৃকার পশ্চাদ্ভাগে নরমুণ্ডমালাধারিণী কালীকে তদ্রূপ দেখাইতে লাগিল, যেমন সম্মুখের দিকে দূরে বিদ্যুৎ উদয় হইতেছে, নিকটে বিস্তর বকপক্ষী উড্ডীয়মান, এতাদৃশ নীল বর্ণ মেঘমালাকে দেখাইয়া থাকে॥ ৩৯॥
তদনন্তর শিবের অগ্রগামী প্রমথগণ বিবাহের বাদ্য আরম্ভ করিল, উহা বিমানের অগ্রভাগ পর্য্যন্ত স্পর্শ করিলে দেবতারা জানিলেন যে শিবের সেবা করিবার সময় উপস্থিত॥ ৪০॥
বিশ্বকর্ম্মা এক নূতন ছত্র নির্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন, সূর্যদেব শিবের মস্তকে সেই ছত্র ধারণ করিলেন। তৎকালে ছত্রের প্রান্তে লম্বমান পট্টবস্ত্র শিবের মস্তকের নিকটবর্ত্তী হওয়াতে জ্ঞান হইতে লাগিল যেন গঙ্গার স্রোত তথায় পতিত হইতেছে॥ ৪১॥
তখন গঙ্গা আর যমুনা মূর্ত্তিমতী হইয়া চামর ব্যজন করত প্রভুর সেবায় নিযুক্ত হইলেন। সেই চামর দেখিয়া জ্ঞান হইল যে যদিও ইঁহারা নদীর মূর্ত্তি ত্যাগ করিয়াছেন, তথাপি এখনও যেন ইঁহাদের উপর হংস আসিয়া বসিতেছে॥ ৪২॥