র্ব্বাদ করিলেন। তিনি ঈষৎ হাস্য পূর্ব্বক কহিলেন, এই যে বিবাহযজ্ঞ উপস্থিত, ইহার পৌরোহিত্য করিবার নিমিত্ত অগ্রেই আমি আপনাদিগকে বরণ করিয়া রাখিয়াছি॥ ৪৭॥
বিশ্বাবসু প্রভৃতি গন্ধর্ব্বগণ প্রকৃষ্ট রূপ বীণাবাদ্য সহকারে তাঁহার ত্রিপুর-বিজয়-বৃত্তান্ত গাইতে লাগিলেন। তাহা শ্রবণ করিতে করিতে তমোগুণাতীত চন্দ্রকলাধারী প্রভু গগণ পথ অতিক্রম করিয়া যাইতে লাগিলেন॥ ৪৮॥
তাঁহার বাহন বৃষরাজ তাঁহাকে বহন করত রমণীয় গতিতে গগণে গমন করিতে লাগিল, তাহার গলদেশে লম্বমান সুবর্ণময় ক্ষুদ্র ঘণ্টা গুলি বাজিতে লাগিল, আর যখন যখন তাহার দুই শৃঙ্গ মেঘে বিদ্ধ হয়, তখনই সে দুই শৃঙ্গ সঞ্চালন করে, যেন মনে করে যে নদীতীর খনন করিয়া উহাতে কর্দ্দম সংলগ্ন হইয়াছে॥ ৪৯॥
সেই বৃষ মুহূর্ত্ত মধ্যে সেই ওষধিপ্রস্থ নগরীতে উপনীত হইল, যাহাকে কখন বিপক্ষে আক্রমণ করিতে পারে নাই। আর মহাদেবের দৃষ্টিপাত অগ্রভাগে ধাবমান হইয়া সুবর্ণ শৃঙ্খলার ন্যায় তাহাকে আকর্ষণ করাতেই যেন সে অত শীঘ্র উপস্থিত হইল॥ ৫০॥
নগরের নিকটে মেঘের ন্যায় নীলবর্ণ-কণ্ঠধারী প্রভূ, ত্রিপুরাসুরের ধ্বংস কালে আপন বাণ যে পথে প্রেরণ করিয়াছিলেন, সেই আকাশ পথ হইতে অবতরণ করিতে লাগিলেন, পুরবাসীরা মস্তক উত্তোলন পূর্ব্বক দেখিতে লাগিল, তিনি সন্নিহিত ভূমিতলে অবতীর্ণ হইলেন॥ ৫১॥