এই হিমালয় অশেষ রত্নের উৎপত্তি স্থান, একারণ হিমে আবৃত হইলেও ইহার সৌন্দর্য্যের হানি হয় নাই। যেমন চন্দ্রের জ্যোৎস্না দ্বারা উহার কলঙ্ক গোপন হইয়া যায়, সেই, রূপ নানা গুণের মধ্যে এক মাত্র দোষ থাকিলে উহা লক্ষ্য হয় না॥ ৩॥
এই পর্ব্বতের ভিন্ন ভিন্ন শিখরে নানা বর্ণের অনেক ধাতু বিদ্যমান আছে, উহাদিগের বিচিত্র বর্ণ খণ্ড খণ্ড মেঘের উপর প্রতিফলিত হয়, তাহাতে জ্ঞান হয় যেন অসময়ে সন্ধ্যা হইয়াছে, তর্দ্দর্শনে পর্ব্বত-বাসিনী অপ্সরারা ব্যস্ত সমস্ত হইয়া প্রিয় সমাগমের উপযুক্ত বেশ ভূষা ধারণ করিতে উদ্যত হয়েন এবং ব্যস্ততা প্রযুক্ত এক স্থানের অলঙ্কার ভ্রম ক্রমে স্থানান্তরে সন্নিবেশিত হয়॥ ৪॥
এই পর্ব্বতের নিতম্ব দেশ পর্য্যন্ত মেঘেরা বিচরণ করে, নিম্নস্থিত সানুদেশে (পর্ব্বতোপরিস্থিত সমতল প্রদেশ) সেই মেঘের ছায়া পড়ে, তথায় সিদ্ধেরা বিশ্রাম করিতে করিতে যখন বৃষ্টি দ্বারা উত্ত্যক্ত হয়েন, তখন তাঁহারা মেঘ মণ্ডলের উপরিস্থিত অপরাপর সানুতে উপনীত হয়েন॥ ৫॥
এই পর্ব্বতে যখন সিংহগণ হস্তি বধ করিয়া রক্ত রঞ্জিত চরণ বিন্যাস করতঃ স্থানান্তরে চলিয়া যায়, তখন বিগলিত তুষারের জল দ্বারা সেই রক্ত ধৌত হইয়া যায়, সুতরাং চরণের চিহ্ন দেখিয়া নিরূপণ করিতে পারা যায় না যে উহারা কোন্ পথে গমন করিয়াছে। তথাপি সিংহের নখের মধ্য হইতে যে সকল গজ-মুক্তা নিপতিত হইয়া স্থানে স্থানে ছড়া-