পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সপ্তম সর্গ।
১০১

 কোন রমণী কেশপাশ বন্ধন করিতেছিলেন, হঠাৎ শিবকে দেখিতে গবাক্ষ পথে চলিলেন, তাঁহার কেশের বন্ধর শিথিল এবং অভ্যন্তরস্থ মালা বহির্গত হইয়া পড়িল, এবং হস্তে কেশকলাপ ধারণ করিয়া রহিলেন, আর বন্ধন করিবার অবকাশ রহিল না॥ ৫৭॥

 কেহ চরণে লাক্ষা দেওয়াইতেছিলেন, বেশ-ভূষা-কারিণী পরিচারিকা চরণের অগ্রভাগ ধারণ করিয়াছিল, তখনও অলক্তক-রস শুষ্ক হয় নাই, তিনি হঠাৎ চরণ উহার হস্ত হইতে আকর্ষণ করিয়া লইলেন, তখন আর বিলাস-মন্থর গমনে যাওয়া হইল না, গবাক্ষ পর্য্যন্ত সমস্ত পথ লাক্ষা-রসে রঞ্জিত করিয়া দ্রুতপদে চলিয়া গেলেন॥ ৫৮॥

 আর এক রমণী চক্ষে কাজল পরিতেছিলেন, দক্ষিণ চক্ষে কাজল দেওয়া হইয়াছিল, বাম চক্ষে তখনও হয় নাই, সেই অবস্থাতেই কাজল দিবার তুলী হস্তে ধারণ করিয়া গবাক্ষের দিকে ধাবমান হইলেন॥ ৫৯॥

 গবাক্ষে যাইবার সময় এক রমণীর কটিবস্ত্রের বন্ধন শিথিল হইয়া গিয়াছিল, তিনি গবাক্ষের ছিদ্রে দৃষ্টিদান পূর্ব্বক তাহা আর বাঁধিবার অবকাশ পাইলেন না, কেবল হস্তদ্বারা বস্ত্র ধারণ করিয়া রহিলেন আর নাভিমধ্যে অলঙ্কারের প্রভা প্রবিষ্ট হইল॥ ৬০॥

 এক রমণী মুক্তাদ্বারা চন্দ্রহার গাঁথিতেছিলেন, অর্দ্ধেক গাঁথা হইয়াছে, এমন সময় সত্বর গাত্রোত্থান করিলেন, চন্দ্রহারের সূত্র চরণের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে বাঁধা ছিল, প্রত্যেক পাদ-