হন্তা ইন্দ্র পর্ব্বতদিগের প্রতি ক্রুদ্ধ হইয়া পক্ষ চ্ছেদন করিতে উদ্যত হইয়াছিলেন, তখন তিনি জলনিধি সমুদ্রের সহিত বন্ধুত্ব বিধান করাতে বজ্রাঘাতের যন্ত্রণ তাঁহাকে ভোগ করিতে হয় নাই, বরং তিনি সমুদ্র মধ্য দিয়া পাতালে প্রবেশ পূর্ব্বক নাগ কন্যাদিগের প্রণয়ের পাত্র হইয়া কাল যাপন করিতে লাগিলেন॥ ২০॥
এই সময়ে, দক্ষ নন্দিনী সতী নামে মহাদেবের যে পরম পতিব্রতা প্রথম পত্নী ছিলেন, তিনি পিতৃকৃত অপমান সহ্য করিতে না পারিয়া যোগ বলে প্রাণ ত্যাগ পূর্ব্বক মেনকার গর্ভে জন্ম গ্রহণ উদ্দেশে উপস্থিত হইলেন॥ ২১॥
যেমন কৌশলপূর্ব্বক নীতি প্রয়োগ করিলে সেই নীতি ব্যর্থ না হইয়া উৎসাহের সংযোগে অশেষ সম্পত্তি প্রসব করে; সেই রূপ পর্ব্বতরাজ কল্যাণ গুণশালিনী সেই ভূতপূর্ব্ব দক্ষ কন্যাকে সদাচারবতী নিজ মহিষীর গর্ভে জন্মদান করিলেন॥ ২২॥
যে দিন তাঁহার জন্ম হইল, সে দিন কি উদ্ভিজ্জ কি প্রাণী তাবৎ শরীরী পদার্থের অপূর্ব্ব সুখ উদয় হইয়াছিল, সে দিন চতুর্দ্দিক্ পরিষ্কার ছিল, ধূলির লেশমাত্র নাই এ প্রকার বায়ু বহিয়াছিল, এবং দিব্য লোকে শঙ্খধ্বনি ও তদনন্তর পুষ্পবৃষ্টি হইয়াছিল॥ ২৩॥
বিদূর নামে এক পর্ব্বত আছে, মেঘের শব্দ হইলে তথাকার ভূতলে ইন্দ্রনীল মণির রেখা আবির্ভূত হয়। মেনকার সেই নবপ্রসূতা কন্যার শরীরের এপ্রকার ঔজ্জ্বল্য