বর্ণ যে, যখন তিনি ধরাতলে চরণ বিন্যাস করিতেন, তখন বোধ হইত যেন উহা হইতে রক্তবর্ণ অলক্তক-রস নির্গত হইতেছে, যখন তিনি চলিয়া যাইতেন তখন যেন বোধ হইত যে ধরাতলে স্থলপদ্ম প্রস্ফুটিত করিতে করিতে যাইতেছেন॥ ৩৩॥
রাজহংসদিগের ইচ্ছা ছিল যে তাঁহার নুপুরধ্বনি শিক্ষা করে অতএব তাহারাই যেন প্রত্যুপদেশ পাইবার আশয়ে সেই অবনতাঙ্গী নব-যুবতিকে বিলাসসুন্দর পাদবিন্যাস শিক্ষা দিয়াছিল।॥ ৩৪॥
তাঁহার দুই ঊরু বর্ত্তুলাকার ও ক্রমে কৃশ হইয়া আসিয়াছে, তাহাতে এত লাবণ্য বিদ্যমান ছিল যে বিধাতা বোধ করি পার্ব্বতী-শরীর নির্ম্মাণের জন্য যে পরিমাণ লাবণ্যের আয়োজন করিয়াছিলেন, সে সমস্তই ঊরুতে নিঃশেষ হইয়াছিল এবং অবশিষ্ট অঙ্গে দিবার জন্য বিধাতাকে নূতন লাবণ্য প্রস্তুত করিতে হইয়াছিল॥ ৩৫॥
হস্তিরাজের শুণ্ডের চর্ম্ম কঠোর, কদলীতরু নিতান্ত শীতল, এই কারণে জগদ্বিখ্যাত সৌন্দর্য্যশালী হইয়াও কি হস্তিশুণ্ড কি কদলীতরু পার্ব্বতীর ঊরুদ্বয়ের তুলনাস্থল হইতে পারে নাই॥ ৩৬॥
নিন্দাস্পর্শ-শূন্যা সেই পার্ব্বতীর নিতম্বদেশের শোভা ইহাতেই অনুমান হইতে পারে যে, নারীমাত্রের আশার অতীত মহাদেবের ক্রোড়দেশে সেই নিতম্ব স্থান পাইয়াছিল॥ ৩৭॥
(২)