অভিনবোদিত তাঁহার যে সূক্ষ রোমাবলী গভীর নাভিমণ্ডলের অভ্যন্তর পর্য্যন্ত প্রবেশ করিয়াছিল, তাহা দেখিলে বোধ হইত যেন রসনার (চন্দ্রহার) মধ্যস্থিত ইন্দ্রনীলমণির কিরণরাজি বস্ত্রের গ্রন্থি অতিক্রম করিয়া দেখা দিতেছে॥ ৩৮॥
বেদির ন্যায় কৃশ মধ্য শালিনী সেই বালার কটিদেশে যে সুচারু ত্রিবলি ছিল তদ্দর্শনে জ্ঞান হইত যেন নবযৌবন কন্দর্পের আরোহণের জন্য তিন সোপান রচনা করিয়া রাখিয়াছেন॥ ৩৯॥
নীলোৎপল লোচনা পার্ব্বতীর পাণ্ডুবর্ণ স্তনযুগল এরূপ পরিপুষ্ট হইয়াছিল যেন বোধ হইত যে পরস্পরকে পীড়া দিতেছে, আর কৃষ্ণবর্ণমুখ-বিশিষ্ট সেই দুই স্তনের মধ্যস্থলে মৃণাল সূত্রের পর্য্যন্ত অবস্থিতি অসম্ভব॥ ৪০॥
আমার জ্ঞান হয় যে পার্ব্বতীর দুই বাহু শিরীষ পুষ্প অপেক্ষাও সমধিক সুকুমার হইবেক। কারণ কন্দর্প মহাদেবের নিকট পরাজিত হইয়াও সেই দুই বাহুকে মহাদেবের কণ্ঠমালা রূপে পরিণত করিয়াছিলেন॥ ৪১॥
স্তনদ্বয় বিদ্যমান থাকাতে উন্নতানত তাঁহার যে বক্ষঃস্থল এবং গোল মুক্তার যে মালা তিনি গলায় পরিতেন, ইহারা পরস্পর পরস্পরের শোভা বৃদ্ধি করিয়াছিল, সুতরাং ইহা বলা ভার যে বক্ষস্থলের ভূষণ মালা অথবা মালার ভূষণ বক্ষস্থল॥ ৪২॥
স্বভাব-চঞ্চলা লক্ষ্মী যখন চন্দ্রে অধিষ্ঠান হয়েন, তখন