উনি কোথাও অপদস্থ হইয়া অন্তঃকরণে ঘোর যাতনা ভোগ করিতেছেন॥ ২২॥
যমও দেখিতেছি যে আপন দুর্দ্ধর্ষ দণ্ডদ্বারা পৃথিবীতে আঁক কাটিতেছেন, যমদণ্ডের সেই প্রভা কোথা গেল? লোকে নির্ব্বাণ অঙ্গার লইয়া যে ব্যবহার করে, উনি আপনি আপনার দণ্ডের প্রতি সে ব্যবহার কেন করিতেছেন॥ ২৩॥
আর এই যে দ্বাদশ দিবাকর, ইহাদিগের তেজ নষ্ট হইয়া শীতল হইল কেন? চিত্রপটে লিখিত সূর্য্যের ন্যায় উঁহাদিগের প্রতি দৃষ্টিপাত,করিতে ক্লেশ হয় না কেন?॥ ২৪॥
যে পথে স্রোত যাইতেছিল, তদ্বিপরীত দিকে উহার গতি দেখিলে যেমন বুঝা যায় যে কোথাও স্রোতের পথ রুদ্ধ হইয়াছে, তদ্রূপ এই উনপঞ্চাশ বায়ুর অস্থিরতা দর্শনে বিলক্ষণ বুঝিতেছি যে ইঁহাদিগের গতি আর স্বেচ্ছাধীন নাই॥ ২৫॥
একাদশ রুদ্রের মস্তকের জটাজূট যেরূপ অবনত হইয়ছে এবং উহাতে চন্দ্রকলাগুলি যে প্রকার লম্বমান হইয়া আছে, তদ্দর্শনে বিলক্ষণ বোধ হয় যে পূর্ব্বে উঁহাদিগের হুঙ্কারে যেরূপ শক্র বিনাশ হইত, এখন আর, সেরূপ হয় না॥ ২৬॥
যেমন বিশেষ সূত্রের প্রয়োগ স্থলে সামান্য সূত্র প্রয়োগ হয় না, তদ্রূপ আপনাদিগের পূর্ব্বাধিকৃত পদগুলি কি প্রবলতর শত্রুদিগের দ্বারা অপহৃত হইয়াছে॥ ২৭॥
অতএব হে বৎসগণ! বল কি অভিলাষে আমার নিকট