সেই অসুর যে প্রকার রণপণ্ডিত সে যখন যুদ্ধে নিজ পরাক্রম প্রকাশ করিবে, তখন তাহার পুরোবর্ত্তী হয় এমন পুরুষ কে আছে; তবে মহাদেবের ঔরসজাত সন্তান হইলে এক দিন পারিতে পারে॥ ৫৭॥
কারণ সেই প্রভু মহাদেব তমোগুণাতীত সাক্ষাৎ পরমেশ্বর; তাঁহার ক্ষমতার ইয়ত্তা করিতে আমিও পরিনা, নারায়ণও পারেন না॥ ৫৮॥
মহাদেবের মন তপস্যাতে আসক্ত আছে, অতএব পার্ব্বতীর সৌন্দর্য্য দ্বারা চুম্বক দ্বারা লৌহাকর্ষণের মত তাঁহার চিত্ত তোমাদিগকে আকর্ষণ করিতে হইবেক॥ ৫৯॥
কারণ মহাদেবের বীর্য্য-পতন সন্ধারণ করিতে পার্ব্বতীই পরিবেন, যেমন মহাদেবের জলময়ী মূর্ত্তি আমার বীর্য্যপাত সন্ধারণ করিয়াছিল॥ ৬০॥
সেই প্রভু নীলকণ্ঠের পুত্র তোমাদিগের সেনাপতি পদ গ্রহণ পূর্ব্বক অদ্ভুত পরাক্রম প্রকাশ করিয়া বন্দীকৃত দেবমহিলাদিগের বেণীবন্ধ মোচন পূর্ব্বক বিরহিণী বেশ অপনয়ন করিবেন॥ ৬১॥
সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা এই কথা বলিয়া অন্তর্ধান হইলেন। দেবতারাও মনে মনে কর্ত্তব্য অরধারণ করিতে করিতে স্বর্গে চলিয়া গেলেন॥ ৬২॥
তথায় দেবরাজ অনেক বিবেচনা পূর্ব্বক মনে মনে কন্দর্পকে স্মরণ করিলেন। তাঁহার সেই মন উপস্থিত