পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
তৃতীয় সর্গ।
২৯

 হে বীর। ক্ষান্ত হউন, আপনার বজ্র বিশ্রাম করুক আমার যে বাণগুলি আছে, তাহা দ্বারাই আমি যে অসুরকে বলিবেন তাহাকেই এরূপ বীর্য্যহীন ও নিস্তেজ করিয়া তুলিব যে স্ত্রীলোকেরও কোপপ্রযুক্ত অধরস্ফুরণ দর্শন করিয়া সে ভয়ে কম্পমান হইবেক॥ ৯॥

 যদিও পুষ্পই আমার অস্ত্র, তথাপি আপনার প্রসাদে এই বসন্তকে একমাত্র সহায় পাইয়া, মনে করিলে সেই পিনাকপাণি মহাদেবের পর্য্যন্ত চিত্ত চঞ্চল করিতে পারি, অন্যান্য বীরের কথা আর কি বলিব?॥ ১০॥

 কন্দর্পের এই বাক্য শেষ হইলে ইন্দ্র ঊরুদেশ হইতে এক খানি চরণ অবতারণপূর্ব্বক সিংহাসনের পাদপীঠে সংস্থাপন করিলেন, সেই পাদপীঠ যেন তাহাতে বিশেষ অনুগৃহীত হইয় গেল। আর তিনি যে কার্য্য সিদ্ধির জন্য স্থির সংকল্প হইয়াছিলেন, তাহা সিদ্ধ করিবার জন্য কন্দর্পের উৎসাহ ও ব্যগ্রতা দেখিয়া তাঁহাকে কহিলেন॥ ১১॥

 সখে, যাহা বলিলে, সকলি তুমি পার। যেহেতু দুই খানি অস্ত্রের উপর আমার নির্ভর, এক বজ্র আর তুমি। কিন্তু বজ্রের ক্ষমতা নাই যে তপোবীর্য্য সম্পন্ন মহাপুরুষদিগকে আঘাত করে। কিন্তু তুমি আমার যে অস্ত্র, তাহ সর্ব্বত্র প্রয়োগ হয়, কার্য্যসিদ্ধিও করে॥ ১২॥

 তোমার বলবীর্য্য অবগত আছি, এনিমিত্ত তোমাকে আপনার ন্যায় জ্ঞান করিয়া এক গুরুতর কর্ম্মে নিয়োগ করিব। দেখ নারায়ণ দেখিলেন যে অনন্ত সর্প পৃথিবীর