তুমি ত এই মাত্র লোকান্তরে চলিয়া গিয়াছ, আমিও তোমার পথের পথিক হইব। কিন্ত বিধি সংসারের লোককেই বিড়ম্বনা করিলেন, কারণ প্রাণিবর্গের সুখ তোমা অবর্ত্তমানে ফুরাইয়া গেল॥ ১০॥
হে নাথ, যখন নগরের রাজপথ রাত্রির অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয় এবং অভিসারিকারা মেঘ গর্জন শ্রবণ করিয়া ভয়ে কাঁপিতে থাকে, তখন তুমি ব্যতিরেকে তাহাদিগকে তাহাদিগের প্রিয়তমের নিকটে কে বা লইয়া যাইতে পারে॥ ১১॥
সুরাপান করিলে চক্ষু যে রক্ত বর্ণ হইয়া ঘূর্ণিত হইতে থাকে, এবং কথায় কথায় বাক্য গুলি যে অস্পষ্ট হইতে থাকে, রমণীগণের এখনো সুরাপান প্রযুক্ত সে সকলি ঘটিবেক বটে, কিন্তু যখন তুমি নাই, তখন সে সকলি তাহাদিগের বিড়ম্বনা মাত্র॥ ১২॥
হে অনঙ্গ, চন্দ্র যখন শুনিবেন যে তোমা সদৃশ প্রিয় বন্ধুর শরীর কথাশেষ হইয়াছে, তখন বুঝিবেন যে তাঁহার আর উদয় হওয়া বৃথা। কৃষ্ণপক্ষ গত হইলেও তিনি অতি কষ্টে আপন কলেবর বৃদ্ধি করিতে উদ্যোগী হইবেন॥ ১৩॥
যাহার রমণীয় বৃন্ত হরিত ও অরুণ বর্ণের মিশ্রিত কান্তি ধারণ করিয়া দেখিতে সুন্দর হয়, নর কোকিলের সুমধুর রব শুনিয়া লোকে, যাহা উৎপন্ন হইয়াছে বুঝিতে পারে, সেই আম্র মঞ্জরী এখন কাহার বাণ হইবে, বল॥ ১৪॥
শ্রেণীবদ্ধ ভ্রমরদিগকে তুমি অনেকবার আপন ধনুকের গুণ রূপে ব্যবহার করিয়ছিলে। তাহারা এই দেখ আমার