করিলেন; তাঁহার উন্নত স্তন দ্বয়ের উপরি সংলগ্ন হইয়া সেই বল্কল স্থানে স্থানে ছিন্ন-প্রায় হইয়া উঠিল॥ ৮॥
পরম সুন্দর কেশকলাপের দ্বারা তাঁহার মুখের যে প্রকার শোভা হইত, জটা বন্ধন করিলেও সেই মুখ সেই রূপ কমনীয়ই রহিল। ভ্রমরের মালার সংযোগেই যে পদ্মের শোভা হয়, তাহা নহে; শৈবাল সংযোগেও উহার শোভার হ্রাস হয় না॥ ৯॥
মুঞ্জ নামক তৃণ দ্বারা বিরচিত গুণত্রয়-সংঘটিত যে মেখলা তিনি তপস্যার অঙ্গ স্বরূপ ধারণ করিলেন, তাহা ইহার পূর্ব্বে আর কখন ধারিত হয় নাই বলিয়া ক্ষণে ক্ষণে তাঁহার রোমাঞ্চ হইতে লাগিল এবং নিতম্বদেশ রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল॥ ১০॥
এখন অধরে অলক্তক রসের লেপন ছিল না, সুতরাং অধরে হস্ত যাইত না; পূর্ব্বে কন্দুক ক্রীড়া করিতেন, কন্দুক ঊর্দ্ধে উঠিয়া পুনর্ব্বার বক্ষস্থলে পতিত হইয়া তথাকার কুঙ্কুমাদি অঙ্গরাগ দ্বারা রক্তবর্ণ হইয়া উঠিত, এখন সেই কন্দুকের সহিতও হস্তের সম্পর্ক রহিল না। এখন কুশাঙ্কুর ছেদন করাতে হস্তের অঙ্গুলি ক্ষত বিক্ষত হইয়া উঠিল এবং জপমালার সহিতই উহার বিশেষ বন্ধুত্ব ঘটিয়া উঠিল॥ ১১॥
অতি চমৎকার শয্যার উপর গাত্র পরিবর্ত্তন কালে কেশ হইতে যদি পুষ্প পতিত হইত, তাহাতেও তাঁহার ক্লেশ হইত। এরূপ সুকুমারী হইয়াও তিনি এখন বাহু-লতার