পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পঞ্চম সর্গ।
৫৯

যেন ভবিষ্যতে তাঁহার তপস্যার কঠোরতার সাক্ষ্য দিবার জন্য বিদ্যুতের চক্ষু মেলিয়া দেখিতে লাগিলেন॥ ২৫॥

 পৌষমাসের রাত্রিতে যখন বায়ু চতুর্দ্দিকে শিশির বর্ষণ করিতে থাকে, সেই সময়ে তিনি জলমধ্যে অবস্থিতি করিতেন, আর চক্রবাক চক্রবাকী তাঁহার সমক্ষে বিরহদুঃখ অনুভব করত পরস্পরের উদ্দেশে রোদন করিতেছে ইহা দেখিয়া তাঁহার অন্তঃকরণে কারুণ্য-রসের সঞ্চার হইত॥ ২৬॥

 তৎকালে তাঁহার সর্বাঙ্গশরীর জলে নিমগ্ন থাকিত, কেবল মুখখানি ভাসিত, উহার সৌরভ পদ্মের ন্যায়, এবং শীতপ্রযুক্ত অধর পদ্ম-দলের ন্যায় কাঁপিতে থাকিত, সুতরাং যদিও শীত সমাগমে সরোবরের তাবৎ পদ্ম নষ্ট হইয়াছিল, তথাপি তাঁহার তথাবিধ সেই মুখ যেন পদ্মের ন্যায় জ্ঞান হইত॥ ২৭॥

 বৃক্ষ হইতে স্বয়ং যে শুষ্ক পত্র পতিত হয়, তাহা ভক্ষণ করিয়া থাকাই কঠোর তপস্যার পরা কাষ্ঠা; তিনি কিন্তু তাহা পর্যন্ত পরিত্যাগ করিয়াছিলেন এই নিমিত্ত পৌরাণিকেরা তাঁহার অপর্ণা এই এক নাম দিয়াছে॥ ২৮॥

 তাঁহার শরীর ত মৃণালের ন্যায় কোমল, তথাপি সেই শরীরে তিনি পূর্ব্বোক্ত প্রকার যে সকল কঠোর তপস্যার অনুষ্ঠান করিতে লাগিলেন, অন্যান্য ঋষিগণ আপনাদিগের কষ্টসহ কঠিন শরীর দ্বারাও সে প্রকার কঠোর তপস্যা করিতে পারক হয়েন নাই॥ ২৯॥

 অনন্তর এক দিন এক ব্রহ্মচারী তাহার আশ্রমে আসিয়া