পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পঞ্চম সর্গ।
৬১

অধরে অনেক দিন অলক্তক রস লেপন কর নাই, উহা পাটলবর্ণ হইয়া গিয়াছে, ঐ পল্লব গুলিও স্বভাবত তদ্রূপই পাটল॥ ৩৪॥

 এই যে হরিণেরা, যাহাদিগের চঞ্চল চক্ষু অবলোকন করিলে মনে হয় যেন তোমার নয়ন মাধুরীর অভিনয় করিতেছে, উহারা যখন বিশ্বাস বশতঃ তোমার হস্তস্থিত কুশ আসিয়া ভক্ষণ করে, কেমন তখন উহাদিগের প্রতি তুমি বিরক্ত হও না ত?॥ ৩৫॥

 রূপ থাকিলে লোকে পাপী হয় না এই যে এক কথা আছে, তোমাকে দেখিলে কিন্তু তাহা সত্যই বোধ হয়। তাহাই ত দেখিতেছি যে তোমার আকৃতি যেমন চমৎকার, তোমার ধর্ম্মানুষ্ঠানও তেমনি আশ্চর্য্য, যে মুনিরা পর্য্যন্ত তাহা হইতে শিক্ষা পাইতে পারেন॥ ৩৬॥

 স্বর্গের গঙ্গায় সপ্তর্ষিগণ পূজা অর্চ্চা করিয়া পূজার সামগ্রী নিক্ষেপ করিয়া গঙ্গাজলের শোভা বৃদ্ধি করিয়া থাকেন। সেই পরম পাবন গঙ্গাজল মস্তকে পতিত হইয়া পর্ব্বতরাজের যেরূপ পবিত্রতা উৎপন্ন করিয়াছে, আমি বোধ করি তোমার নির্ম্মল চরিত্রের দ্বারা পর্ব্বতরাজ ততোধিক পবিত্র হইয়া গিয়াছেন॥ ৩৭॥

 তোমার ন্যায় বুদ্ধিমতী নারী মন হইতে অর্থ ও কামের অনুসন্ধান এক কালে দূরীভূত করিয়া কেবল যে ধর্ম্মেরই অনুসরণ করিতেছে, ইহা দেখিয়া আজি আমার নিশ্চিত প্রতীতি হইল যে ধর্ম্মই ত্রিবর্গের মধ্যে শ্রেষ্ঠ॥ ৩৮॥