করিয়া হঠাৎ জাগরিত হইতেন, তখন কেহ কোথাও নাই, অথচ যেন কাহাকেও বলিতেছেন “হে নীলকণ্ঠ! কোথায় চলিলে,” যেন কাহারো গলদেশে বাহু-বন্ধন অপর্ণ করিবার জন্য দুই বাহু প্রসারিত করিতেছেন॥ ৫৭॥
আর বালিকার ন্যায় কখন বা আপনি শিবের প্রতিমূর্ত্তি চিত্রিত করিয়া সেই প্রতিমূর্ত্তিকে এই বলিয়া তিরস্কার করিতেন যে “পণ্ডিতেরা তোমাকে সকলের অন্তর্যামী কহে, কিন্তু আমি যে তোমার প্রতি অনুরাগিণী, ইহা আজিও তুমি কেন জানিতে পারিতেছ না”॥ ৫৮॥
পরে যখন বুঝিলেন যে সেই জগৎপাতা শিবকে পতি পাইতে হইলে তপস্যা ব্যতীত উপায়ান্তর নাই, তখন পিতার অনুমতি লইয়া এবং আমাদিগকে সঙ্গে লইয়া ইনি তপস্যা করিবার জন্য তপোবনে আসিয়াছেন॥ ৫৯॥
এই যে বৃক্ষগণ, যাহাদিগকে সখীই রোপণ করিয়াছেন এবং যাহারা ইঁহার তপস্যা আদ্যন্ত প্রত্যক্ষ করিয়াছে, ইহারাও ফলবান্ হইল। কিন্তু মহাদেবকে পাইবার নিমিত্ত ইঁহার যে অভিলাষ, তাহার অঙ্কুরও আজি উদয় হয় না॥ ৬০॥
যেমন ইন্দ্রই বৃষ্টি ও অনাবৃষ্টির বিধাতা, তিনি অনুগ্রহ না করিলে ভূমি শুষ্ক হইয়া ক্ষতবিক্ষত হইয়া যায়, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করিলে ভূমির সে ভাব নষ্ট হয়, তদ্রূপ শিবই ইঁহার কষ্টের হেতু, তিনি যে কবে অনুগ্রহ করিবেন জানি না, তিনি ইঁহার অভিলাষের পাত্র হইয়া দুর্লভ হইয়াছেন,