বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পঞ্চম সর্গ।
৬৭

কিন্তু তাঁহাকে পাইবার নিমিত্ত তপস্যা করিয়া করিয়া ইনি এরূপ কৃশ হইয়াছেন যে দেখিলে সখীদের চক্ষে জল আসে॥ ৬১॥

 পার্ব্বতীর মনের কথা তাঁহার সখী জানিতেন, অতএব যখন তিনি এই রূপে কোন কথা গোপন না করিয়া সেই প্রিয়দর্শন ব্রহ্মচারীকে আদ্যোপান্ত ব্যক্ত করিয়া কহিলেন, তখন তাঁহার মুখে কিছুমাত্র আনন্দের লক্ষণ লক্ষিত হইল না, তিনি কেবল পার্ব্বতীকে এই মাত্র জিজ্ঞাসা করিলেন যে, ‘কেমন, তোমার সখী যাহা বলিলেন, তাহা কি সত্য অথবা পরিহাস মাত্র?’॥ ৬২॥

 তখন পার্ব্বতী হস্তের অঙ্গুলি গুলি মুদ্রিত করিয়া স্ফটিকময়ী জপমালা হস্তের অগ্রভাগে সংস্থাপন পূর্ব্বক অনেক বিলম্বে মুখে কথা আনয়ন পূর্ব্বক অতি কষ্টে কহিলেন॥ ৬৩॥

 হে পণ্ডিতবর! আপনি যাহা শুনিলেন, তাহা যথার্থ! সত্যই এ অভাজন উচ্চপদ আকাঙ্ক্ষা করে। হায় আমার কি দুরাশা যে এই সামান্য তপস্যা দ্বারা সে উচ্চপদ পাইব ইহা মনে করিয়াছি। তবে মনের বাসনা ধাবিত না হয় এমন বস্তু কিছুই নাই॥ ৬৪॥

 তখন ব্রহ্মচারী কহিলেন, শিবকে আমি জানি, তাঁহার লাভের জন্য তুমি আবার চেষ্টা করিতেছ। তিনি যে রূপ কদাচারী পুরুষ, আমি কিন্তু এ বিষয়ে তোমার সাহায্য করিতে পারিলাম না॥ ৬৫॥