পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পঞ্চম সর্গ।
৭১

গমন করেন, তখন মদমত্ত-ঐরাবতারূঢ় ইন্দ্র তাঁহার চরণে প্রণিপাত করিয়া চরণাঙ্গুলি গুলি মস্তকস্থিত প্রফুল্ল মন্দার মালার পরাগে রক্ত বর্ণ করিয়া দেন॥ ৮০॥

 তুমি ত অধঃপাতে গিয়াছ, শিবকে নিন্দা করাই তোমার অভিপ্রায়, তথাপি শিবের একটী প্রশংসা তোমার মুখ হইতেও নির্গত হইয়াছে। যিনি ব্রহ্মারও উৎপত্তির মূল, তাঁহার জন্মের নিরূপণ কি রূপে সম্ভবে?॥ ৮১॥

 আর বাগ্‌যুদ্ধে প্রয়োজন করে না। তুমি শিবের বিষয় যেরূপ জান, তিনি সর্ব্বতোভাবে সেই রূপই না হয় হইলেন। আমার মন তাঁহার উপর একাগ্র হইয়া রহিয়াছে। প্রণয়ের প্রবৃত্তি হইলে দোষ গুণ বিচার থাকে না॥ ৮২॥

 সখি বারণ কর; এই ব্রাহ্মণের অধর আবার কম্পিত হইতেছে, আবার কিছু বলিবে। মহতের নিন্দা যে করে, শুদ্ধ সে নহে, কিন্তু যে শুনে, সে পর্য্যন্ত পাপে লিপ্ত হয়॥ ৮৩॥

 অথবা এই স্থান হইতে আমার চলিয়া যাওয়াই কর্ত্তব্য, এই কথা বলিয়া পার্ব্বতী গাত্রোত্থান করিলেন, ত্বরা প্রযুক্ত তাঁহার বক্ষস্থলের বল্কল সরিয়া গেল। তৎক্ষণাৎ মহাদেব নিজ মূর্ত্তি পরিগ্রহ পূর্ব্বক কিঞ্চিৎ হাস্য করিয়া তাঁহাকে ধারণ করিলেন॥ ৮৪॥

 তাঁহাকে দেখিয়া পার্ব্বতী কাঁপিতে লাগিলেন, তাঁহার ক্ষীণ শরীর ঘর্ম্মাক্ত হইয়া উঠিল; যাইবার জন্য চরণ উত্তোলন করিয়াছিলেন, সে চরণ ঊর্দ্ধেই রহিল, অতএব যেমন