রহিয়াছি, যে বিষয়ে আজ্ঞা করিবে আমি তাহাই সম্পাদন করিব।
যুধিষ্ঠির কহিলেন—সঞ্জয়ের নিকট যাহা শুনা গেল, তাহাতে ধৃতরাষ্ট্রের প্রকৃত মনােভাব স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে। বিনা রাজ্য প্রদানে আমাদিগকে ক্ষান্ত করিতে চাহেন। আমি কুলক্ষয় নিবারণার্থে অবশেষে পঞ্চগ্রাম মাত্র লইয়া বিবাদ-ভঞ্জনের প্রস্তাব করিয়াছি; কিন্তু সমগ্র সাম্রাজ্য অধিকারে স্ফীত হইয়া উহারা তাহাতেও সম্মত হইল না।
কৃষ্ণ কহিলেন, হে ধর্ম্মরাজ! যুদ্ধ কার্য্যে প্রবৃত্ত হইবার পূর্ব্বে আমি মনে করিতেছি আমি নিজে হস্তিনাপুরে গমনপূর্ব্বক উভয় পক্ষের হিতার্থে শেষচেষ্টা করিব। যদি আমি তোমাদের স্বার্থের অব্যাঘাতে শান্তি স্থাপন করিতে পারি, তাহা হইলে কুরুকুলকে মৃত্যুপাশ হইতে মুক্ত করিয়া আমি মহা পুণ্যফল লাভ করিব।
দ্রৌপদী এতক্ষণ পতিগণের মৃদুভাব অবলােকনে নিতান্ত ম্রিয়মাণা হইয়া বসিয়াছিলেন। তিনি আর মৌন থাকিতে পারিলেন না। রােদন করিতে করিতে কৃষ্ণকে কহিতে লাগিলেন—
হে মধুসূদন! তুমি কৌরব-সভায় গিয়া আমাদের সমগ্র রাজ্য প্রদান ব্যতিরেকে কোন সন্ধির প্রস্তাবে সম্মত হইও না। তুমি এই পাপিষ্ঠ ধার্ত্তরাষ্ট্রগণের উপযুক্ত দণ্ড বিধান কর।