পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০]
কুরু পাণ্ডব
১৬১

করতে আসিলে তিনি ধনুর্ব্বাণ গ্রহণপূর্ব্বক প্রথমত কলিঙ্গদেশাধিপতি ও তাঁহার রক্ষকগণকে এবং তৎপরে বহুসংখ্যক কলিঙ্গসেনাকে শমনসদনে প্রেরণ করিলেন। ফলত তথায় রুধিরময়ী নদী প্রবাহিত হইল এবং সৈন্যগণ সাক্ষাৎ কালস্বরূপ ভীমসেনের অদ্ভুত যুদ্ধ অবলোকন করিয়া মহা হাহাকারধ্বনি করিতে লাগিল।

 সেই নিনাদ শ্রবণ করিয়া ভীষ্ম নিকটবর্ত্তী সৈন্যগণকে ব্যূহিত করিয়া স্বয়ং ভীমসেনকে নিবারণ করিবার জন্য ধাবমান হইলেন এবং ভীম-রক্ষক পাণ্ডবগণকে শরাচ্ছন্ন করিয়া তাঁহার অশ্ব বিনষ্ট করলেন।

 তখন মহাবীর সাত্যকি সহসা অগ্রসর হইয়া ভীষ্মের সারথিকে সংস্থার করিলে ভীমসেন সেই অবসরে শক্তি গদা ও বহুবিধ অস্ত্র প্রক্ষেপ করিতে করিতে সাত্যকির রথারোহণপূর্ব্বক প্রস্থান করিলেন। ভীষ্মের অশ্বগণ সারথি অভাবে তাঁহাকে লইয়া মহাবেগে বণক্ষেত্র হইতে পলায়ন করিল।

 ভীষ্মের অনুপস্থিতির সুযোগ অবলম্বন করিয়া মহাবীর অর্জ্জুন ও তাঁহার সমতেজা পুত্র অভিমন্যু পূর্ণ বিক্রম বিকাশপূর্ব্বক শত্রুগণের উপর নিপতিত হইলেন। দুর্য্যোধনের পুত্র লক্ষণকে একান্ত নিপীড়িত করায় স্বয়ং দুর্য্যোধন শ্রেষ্ঠ কৌরব-বীর-সমভিব্যাহারে তথায় উপস্থিত হইলেন। তখন অর্জ্জুনশরে শত শত নরপতি প্রাণত্যাগ করিতে আরম্ভ করিল, এবং সৈন্যগণ একান্ত ত্রস্ত হইয়া