হে আচার্য্য! বর্ণ-কুল-বুদ্ধি-বীরত্বে ও দক্ষতায় আপনি সকলের শ্রেষ্ঠ; অতএব ইন্দ্র যেমন দেবগণকে রক্ষা করেন, আপনি সেইরূপ আমাদিগকে রক্ষা করুন। আপনি সেনাপতি হইয়া দেবগণের অগ্রগামী কার্ত্তিকেয়ের ন্যায় আমাদের অগ্রে গমন করুন।
দুর্য্যোধনের বাক্যাবসানে ভূপতিগণ সিংহনাদে তাঁহার হর্ষোৎপাদন করিয়া দ্রোণকে জয়বাদ প্রদান করিলেন। সেনাগণের আনন্দকোলাহল নিবৃত্ত হইলে দ্রোণ সৈনাপত্য স্বীকারপূর্ব্বক কহিলেন―
হে দুর্য্যোধন! তোমরা জয়াকাঙ্ক্ষী হইয়া আমাতে যে সকল গুণ, আরোপ করিলে আমি যুদ্ধকালে তাহা সার্থক করিবার চেষ্টা করিব।
অনন্তর যুদ্ধের একাদশ দিবসে সেনাপতি দ্রোণ সৈন্যগণকে ব্যূহিত করিয়া ধৃতরাষ্ট্রগণ-সমভিব্যাহারে যুদ্ধক্ষেত্রে যাত্রা করিলেন। কৃপ কৃতবর্মা ও দুঃশাসনপ্রভৃতি বীরগণ দ্রোণের বাম পার্শ্ব রক্ষণে নিযুক্ত রহিলেন। জয়দ্রথ কলিঙ্গ ও ধার্ত্তরাষ্ট্রগণ তাঁহার দক্ষিণে অবস্থান করিলেন। মদ্রাধিপতিপ্রভৃতি বীরগণ-সমভিব্যাহারে কর্ণ ও দুর্য্যোধন অগ্রসর হইলেন।
কর্ণ সকলের অগ্রে গমন করিতে লাগিলেন। তাঁহার সিংহ-লাঞ্ছিত সূর্য্য-সঙ্কাশ মহাকেতু স্ব-পক্ষের হর্ষবর্দ্ধন করিয়া শোভমান হইল। তখন কর্ণকে অবলোকন করিয়া কৌরবগণ ভীষ্মের অভাব গণনাই করিলেন না। যুধিষ্ঠিরও