উখিত হইলে কৌরবগণ শল্যকে অবিলম্বে স্থানান্তরিত করিয়া রক্ষা করিলেন।
তখন মহাবাহু গদাহস্ত বৃকোদর কৌরব-সৈন্যকে আক্রমণ করিলে জয়শীল পাণ্ডবগণ উচ্চৈঃস্বরে সিংহনাদ করিয়া তাঁহার সহিত যােগদানপূর্ব্বক তাঁহাদিগকে কম্পিত করিতে লাগিলেন। সৈন্য রক্ষক দ্বিজশ্রেষ্ঠ দ্রোণাচার্য্য কৌরবগণকে ভগ্ন দেখিয়া তাহাদিগকে আশ্বাস-প্রদানপূর্ব্বক রােষাবেশে সহসা পাণ্ডব-সৈন্যমধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া যুধিষ্ঠিরের প্রতি ধাবিত হইলেন এবং তাঁহার চক্ররক্ষককে বিনষ্ট করিয়া অন্যান্য বীরকে নিবারণপূর্ব্বক তাঁহাকে শরনিকরে বিদ্ধ করিলেন।
তখন সৈন্যমধ্যে—রাজা ধৃত হইলেন!—বলিয়া মহাশব্দ সমুত্থিত হইল। এই কোলাহল দূরবর্ত্তী অর্জ্জুনের শ্রবণগােচর হইবামাত্র তিনি শূরগণের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ-বাহিত অতি ভীষণ শোণিত-নদী দ্রুতগতিতে উত্তীর্ণ হইয়া রথঘােষে চতুর্দ্দিক নিনাদিত ও কৌরবগণকে বিদ্রাবিত করিয়া মহাবেগে আগমন করিলেন। অনন্তর ধনঞ্জয়কৃত শরান্ধকারে না-দিক্ না-অন্তরীক্ষ না-মেদিনী না-কিছুই দৃষ্টিগােচর রহিল।
এই সময় ধূলিপটলসমাচ্ছন্ন দিবাকর অস্তমিত হইল; সুতরাং দ্রোণাচার্য্য অগত্যা অর্জ্জুনকর্ত্তৃক পরাজিত সৈন্যগণকে অবহারের আদেশ দিলেন। পাণ্ডবগণও হৃষ্টচিত্তে বিশ্রামার্থে গমন করিলেন।
অনন্তর পরদিনের যুদ্ধারম্ভ হইলে ত্রিগর্ত্তগণ অর্জ্জুনকে