পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১]
কুরু পাণ্ডব
১৯৭

 অভিমন্যু কহিলেন―হে আর্য্য! আমি এই ব্যূহপ্রবেশের কৌশল জ্ঞাত আছি বটে, কিন্তু ইহা হইতে নির্গমনের উপায় অবগত নহি; অতএব প্রজ্বলিত হুতাশনে পতঙ্গ-প্রবেশের ন্যায় এই বিপদাবহ কার্য্যে কি গমন করা কর্ত্তব্য?

 তখন যুধিষ্ঠির কহিলেন―

 বৎস! তুমি ব্যূহ একবার ভেদ করিলে আমরা সকলেই তোমার পশ্চাতে প্রবিষ্ট হইয়া তােমাকে রক্ষা ও কৌরবগণকে বিনষ্ট করিব; অতএব তুমি আমাদিগকে শক্রমধ্যে প্রবেশের দ্বার করিয়া দাও।

 মহাবীর অভিমন্যু এইরূপে অভিহিত হইয়া সারথিকে কহিলেন—

 হে সুমিত্র! তুমি অবিলম্বে দ্রোণ-সৈন্যাভিমুখে রথ চালনা কর।

 অভিমন্যু বারম্বার এই আদেশ করিলে সারথি কহিল―

 হে আয়ুষ্মন্! আপনি অতি গুরুভার গ্রহণ করিতেছেন। এরূপ দুঃসাহস আপনার উচিত হইতেছে কি না তাহা বিশেষ বিবেচনাপুর্ব্বক যুদ্ধে প্রবৃত্ত হৌন।

 তখন অর্জ্জুন-নন্দন হাসিয়া কহিলেন—

 ক্ষত্রিয়-পরিবৃত দ্রোণের কথা দূরে থাক্, আমি ঐরাবত সমারূঢ় ত্রিদশাধিপতির সহিত যুদ্ধ করিতে পশ্চাৎপদ হই না; অতএব তুমি অবিলম্বে রথচালনা কর।

 সারথির বাক্য এইরূপে অনাদৃত হইলে সে অতিশয়