পাতা:কুরু পাণ্ডব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১]
কুরু পাণ্ডব
২৪৭

উদ্যত হইলেও আমি তাঁহাদের বিপক্ষে যুদ্ধ করিতে কাতর হই না।

 রাজা দুর্য্যোধন মদ্ররাজকে উৎসাহযুক্ত দেখিয়া হৃষ্টমনে তাঁহাকে শাস্ত্রবিধি অনুসারে অভিষিক্ত করিলেন। সকলে পরামর্শ করিয়া এই যুদ্ধনিয়ম সংস্থাপন করিলেন যে, কোন ব্যক্তি একাকী পাণ্ডবগণের সহিত যুদ্ধ করিবে না; পরন্তু সকলে মিলিয়া পরস্পরের রক্ষাবিষয়ে নিরন্তর যত্ন করিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে বিচরণ করিবে।

 প্রভাত হইলে প্রবল প্রতাপশালী মদ্ররাজ সর্ব্বতোভদ্র ব্যূহ রচনা করিয়া স্বয়ং মদ্রদেশীয় বীরগণে পরিবৃত হইয়া তাহার মুখে অবস্থান করিলেন। কৌরবগণ পরিরক্ষিত মহারাজ দুর্য্যোধন ব্যূহের মধ্যভাগে, সংসপ্তকগণকে লইয়া কৃতবর্ম্মা বামপার্শ্বে, যবনসেনা-পরিবেষ্টিত কৃপাচার্য্য দক্ষিণ পার্শ্বে এবং কাম্বোজগণ-সমবেত অশ্বত্থামা পৃষ্ঠদেশে অবস্থান করিতে লাগিলেন। শকুনি ও উলুক অশ্বসৈন্যসমভিব্যাহারে সর্ব্বাগ্রে পাণ্ডবগণের অভিমুখে ধাবমান হইলেন।

 অনন্তর মদ্ররাজ সুসজ্জিত রথে আরোহণপূর্ব্বক বেগশালী শরাসনে অনবরত টঙ্কার প্রদানপূর্ব্বক শত্রুদলনার্থে ধাবমান হইলে দুর্য্যোধনের মনে পুনরায় আশার সঞ্চার হইল। এদিকে পাণ্ডবগণও প্রতিব্যূহ নির্ম্মাণপুর্ব্বক কৌরবগণের আক্রমণ নিবারণ করিলেন। ধৃষ্টদ্যুম্ন শিখণ্ডী ও সাত্যকি শল্যর সৈন্যের প্রতি গমন করিলেন, অর্জ্জুন কৃত-