ভীম জ্যেষ্ঠের এইরূপ অনুমতি পাইয়া বিবাহে সম্মত হওয়ায় হিড়িম্বা পরমানন্দে তাঁহাকে লইয়া আকাশমার্গে প্রস্থান করিল।
ভীমের সহিত বাসকালে হিড়িম্বার এক বিরূপাক্ষ মহাবল অমানুষ পুত্র জন্মগ্রহণ করিল। ইহার নাম ঘটোৎকচ। এই ঘটোৎকচ পারে পাণ্ডবগণের প্রতি বিশেষ অনুরক্ত ও শ্রদ্ধাবান্ হইয়াছিল এবং তাঁহারাও উহাকে যথেষ্ট স্নেহ করিতেন।
পথে রমণীয় সরােবরাদির নিকট বিশ্রাম করিতে করিতে কুন্তীসমেত পাণ্ডবগণ ক্রমে দক্ষিণ পাঞ্চালদেশাভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন। পথি মধ্যে বহুতর ব্রাহ্মণের সহিত তাঁহাদের সাক্ষাৎ হইল। ব্রাহ্মণগণ পাণ্ডবদের গন্তব্য স্থান না জানিয়া ও তাঁহাদিগকে স্বশ্রেণীয় বিবেচনা করিয়া কহিতে লাগিলেন–
তােমরা আমাদের সহিত পাঞ্চালদেশে চল। তথায় পরমাদ্ভুত মহােৎসবের আয়ােজন হইতেছে। দ্রুপদরাজ যজ্ঞবেদিমধ্য হইতে এক পরমাসুন্দরী দুহিতা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। সেই কমলনয়নার স্বয়ম্বরানুষ্ঠান হইবে।
এই কথায় পাণ্ডবগণ ব্রাহ্মণদলভুক্ত হইয়া অনতিবিলম্বে