যুধিষ্ঠির বলিলেন—রাজন্! জ্যেষ্ঠ আমি অবিবাহিত থাকিতে অর্জ্জুনের কিরূপে বিবাহ হইতে পারে?
তদুত্তরে দ্রুপদ কহিলেন—
হে সৌম্য! তবে তুমিই আমার কন্যাকে বিবাহ কর, অথবা অন্য কোন্ কন্যা তোমার মনোনীত, তাহা অনুমতি কর।
তখন যুধিষ্ঠির বলিতে লাগিলেন―
মহাশয়! আমার বা ভীমসেনের কাহারও বিবাহ হয় নাই। অর্জ্জুন আপনার কন্যাকে জয় করিয়াছে বটে, কিন্তু আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃস্নেহবন্ধন এত অধিক যে কেহ কোন উৎকৃষ্ট বস্তু প্রাপ্ত হইলে আমরা সকলে মিলিয়া তাহা ভোগ করিয়া থাকি। মাতাও আমাদের সকলকে একত্র হইয়া কৃষ্ণাকে বিবাহ করিতে অনুমতি দিয়াছেন, সুতরাং আমাদের মধ্যে এই চিরপ্রচলিত নিয়ম আমরা এস্থলে লঙ্ঘন করিতে পারিব না। আপনার কন্যা ধর্ম্মত আমাদের সকলেরই পত্নী হইবেন। অতএব অগ্নি সাক্ষী করিয়া জ্যেষ্ঠানুক্রমে সকলেরই সহিত তনয়ার পরিণয়-ক্রিয়া সম্পাদন করুন।
দ্রুপদ কহিলেন― হে ধর্ম্মরাজ! তোমার যদি ইহা প্রকৃতপক্ষে সদনুষ্ঠান বলিয়াই বিবেচনা হয়, তবে আমি আর কি বলিব। যাহা হউক অদ্য তুমি পুনরায় এ বিষয়ে মাতার সহিত বিশেষরূপে পর্য্যালোচনা করিয়া দেখ। কল্য তোমরা সকলে মিলিয়া যাহা কর্ত্তব্য স্থির করিবে, আমি তাহাই করিব।