পাণ্ডুতনয়গণ জীবিত আছেন। এবং তাঁহারাই দ্রৌপদীর পাণিগ্রহণপূর্ব্বক পাঞ্চালরাজ্যে বাস করিতেছেন।
এই সংবাদ শুনিয়া ধৃতরাষ্ট্র বিদুরকে কহিলেন— বিদূর! মহাবীর পাণ্ডুপুত্রগণ আমারও পুত্রস্থানীয় এবং এ রাজ্যেরও সমাংশভাগী সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই, অতএব তুমি স্বয়ং গিয়া সৎকার প্রদর্শনপূর্ব্বক কুন্তী ও দ্রৌপদীসমভিব্যাহারে পাণ্ডুনন্দনদিগকে আনয়ন কর।
অনন্তর ধর্ম্মজ্ঞ ও সর্ব্বশাস্ত্রবিশারদ বিদুর ধৃতরাষ্ট্রের আদেশ অনুসারে বিবিধ রত্ন ও ধনসম্পত্তি গ্রহণপূর্ব্বক পাঞ্চালরাজ্যে উপনীত হইয়া দ্রুপদকে সম্বর্দ্ধনা করিলেন। এবং পাণ্ডবদিগকে নয়নগোচর করিয়া স্নেহভরে আলিঙ্গনপূর্ব্বক কুশল প্রশ্ন করিলেন। তৎপরে কুন্তী দ্রোপদী পাণ্ডব ও পাঞ্চাল্যদিগকে যথানীত ধন ও অলঙ্কারসকল প্রদান করিয়া সকলের সমক্ষে দ্রুপদকে নিবেদন করিলেন―
মহারাজ! পুত্র ও অমাত্য সহ মহারাজ ধৃতরাষ্ট্র আপনাদের সহিত এই সম্বন্ধ সংস্থাপনে সাতিশয় প্রীত হইয়া বারম্বার আপনার কুশল জিজ্ঞাসা করিয়াছেন। কুরু-প্রধান ভীষ্ম আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন, এবং আপনার সখা দ্রোণ আপনাকে উদ্দেশে আলিঙ্গন করিতেছেন। এক্ষণে বহুদিবসের বিয়োগান্ত সকল পাণ্ডুনন্দনদিগকে দেখিবার জন্য অতীব উৎসুক আছেন; ইঁহারাও বহুকাল প্রবাসে থাকিয়া রাজধানীতে গমন করিতে ব্যগ্র। কৌরবগণ ও পৌরজন পাঞ্চালীকে নয়নগোচর করিবার জন্য ব্যাকুল চিত্তে