তােমাতেই প্রতিষ্ঠিত, তােমার ভ্রাতৃগণ ও রাজপুরুষগণ তোমার অনুগত, যাবতীয় ভোগ্যবস্তু তােমার ইচ্ছামাত্র সুলভ, তবে কি নিমিত্ত দীনচিত্তে কালক্ষেপ করিতেছ?
তদুত্তরে দুর্য্যোধন কহিলেন―
হে তাত! আমি যেদিন যুধিষ্ঠিরের দীপ্যমান রাজলক্ষ্মী দর্শন করিয়াছি, তদবধি আর ভােগ্য বিষয় আমাকে তৃপ্ত করেনা।
পুত্রের দুঃখে ধৃতরাষ্ট্রকে একান্ত ব্যথিত দেখিয়া শকুনি সুযােগ বুঝিয়া দুর্য্যোধনকে সম্বােধনপূর্ব্বক বলিতে লাগিলেন—
হে সত্যপরাক্রম! পাণ্ডবদের যে অনুপম ঐশ্বর্য্য দৃষ্টিগােচর করিতেছ, তাহা প্রাপ্ত হওয়া নিতান্ত অসম্ভব নহে। যুধিষ্ঠির অক্ষক্রীড়াপ্রিয় আমিও দ্যূতজ্ঞ, অতএব উহাকে ক্রীড়ার্থ আহ্বান কর, দেখা যাক্ আমি উহাকে পরাজয় করিয়া তােমার নিমিত্ত সেই দিব্য সমৃদ্ধি আনয়ন করিতে পারি কি না।
শকুনির বাক্যাবসানমাত্র দুর্য্যোধন পিতাকে কহিতে লাগিলেন—
হে পিতঃ! অক্ষবিৎ গান্ধাররাজের এ প্রস্তাব সঙ্গত এবং সম্ভবপর, অতএব আপনি এ বিষয়ে ইঁহাকে অনুমতি প্রদান করুন।
ধৃতরাষ্ট্র পুত্রের উদ্বেগ দেখিয়া তাঁহাকে শান্ত করিবার জন্য তন্মতস্থ হইয়া অনুচরবর্গকে আহ্বান করিয়া বলিলেন―