শিক্ষা দিলে অন্তঃপুরে নিশ্চয়ই সমাদৃত হইব। আমিও জিজ্ঞাসিত হইলে বলিব যে, দ্রৌপদীর পরিচর্য্যায় নিযুক্ত ছিলাম। হে ধর্ম্মরাজ! আমি এইরূপে ভস্মাচ্ছাদিত বহ্নির ন্যায় সুখে বিরাটভবনে বিহার করিতে পারিব।
অনন্তর যুধিষ্ঠির কহিলেন―
হে নকুল! তুমি সুখসম্ভোগসমুচিত এবং সুকুমার, তুমি কি কর্ম্ম করিতে পারিবে?
নকুল কহিলেন—মহারাজ! আমার চিরকালই অশ্বের প্রতি প্রীতি আছে, আমি তাহাদের শিক্ষা ও চিকিৎসাসম্বন্ধে অনেক তথ্য অবগত আছি; অতএব আমি গ্রন্থিক নাম ধারণ করিয়া অশ্বপরিদর্শকের পদ প্রার্থনা করিব। এ কার্য্য আমারও প্রীতিকর হইবে, রাজাকেও ইহা দ্বারা সন্তুষ্ট করিতে পারিব। আমিও পরিচয়স্থলে বলিব যে, রাজা যুধিষ্ঠিরের অশ্বাধিকারে নিযুক্ত ছিলাম।
সহদেব জিজ্ঞাসিত হইলে বলিলেন—
হে রাজন! তুমি যৎকালে আমাকে গো-তত্ত্বাবধারণে প্রেরণ করিতে, আমি সে সময়ে গােগণের দোহন পালন ও শুভাশুভ লক্ষণসম্বন্ধে ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলাম; অতএব আমার জন্য চিন্তিত হইও না, আমি তন্ত্রিপাল নামে গোচর্য্যায় নিযুক্ত থাকিয়া নিশ্চয়ই রাজার তুষ্টিসাধন করিতে পারিব।
পরিশেষে কাতরস্বরে ধর্ম্মরাজ বলিতে লাগিলেন—
হে ভ্রাতৃগণ! আমাদের প্রাণপ্রিয়া ভার্য্যা, যিনি