আমি উত্তম ব্যঞ্জনকার সুদ, আমার নাম বল্লভ। আমাকে সূপকারের কর্ম্ম নির্ব্বাহার্থে আপনি গ্রহণ করুন।
বিরাট বলিলেন―হে সৌম্য। তোমাকে সামান্য সূপকার বলিয়া কিছুতেই বিশ্বাস হইতেছে না। তোমার যেরূপ ও বিক্রম দৃষ্ট হইতেছে, তাহাতে তোমাকে নরেন্দ্র হইবার উপযুক্ত বলিয়া বোধ হয়।
ভীম বলিলেন―হে বিরাটেশ্বর। পূর্ব্বে আমি রাজা যুধিষ্ঠিরের কর্ম্মে নিযুক্ত থাকিয়া আমার প্রস্তুত ব্যঞ্জনদ্বারা তাঁহার বিশেষ তৃপ্তিসাধন করিতাম। তাহা ছাড়া আমি বাহুযুদ্ধে সুশিক্ষিত; অতএব আমি নিশ্চয়ই আপনার প্রিয়কার্য্য সম্পাদন করিতে পারিব।
বিরাট কহিলেন―বল্লভ! তোমাকে এ কর্ম্মের অনুপযুক্ত বোধ করিলেও আমি তোমার অভিলাষ পূর্ণ করিব। তোমাকে আমার মহানসের উপর সম্পূর্ণ আধিপত্য দিলাম।
ভীমও এইরূপে নৃপতির সাতিশয় প্রীতিভাজন হইয়া অভিলষিত কর্ম্মে নিযুক্ত হইলেন। কেহই তাঁহার প্রকৃত পরিচয়ের সন্দেহমাত্র করে নাই।
অনন্তর অসিতলোচনা দ্রৌপদী সুদীর্ঘ ও সুকোমল কেশপাশ বেণীরূপে বন্ধন ও একমাত্র মলিন বসন পরিধান করিয়া সৈরিন্ধ্রীর ন্যায় দীনভাবে রাজভবনে গমন করিতে লাগিলেন। নাগরিক পুরুষ ও স্ত্রীলোকগণ তাঁহার