পাতা:কুসুমকুমারী নাটক.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

స్చి कूछ्भकूभांशॆी नाप्नेक । বজ। তোমার কথা আর কি শুনবে ? তোমার কথা শুনাও যl, বাতুলের কথা শুনাও তাই। (চিন্ত করিয়া ) আচ্ছা কি বলবে বল । গণে । মহারাজ ! এ দাসের এই নিবেদন, যে যখন আমাদের সহিত সিন্ধুদেশের সম্রাটের এক তুমুল যুদ্ধের আশঙ্কা আছে, তখন এই বিদ্যাবিনোদের প্রাণদণ্ড করা আপনার উচিত নয় । যদিও সে সামান্য ব্যক্তি বটে, তথাচ যুদ্ধবিষয়ে শক্রদলের কালস্বরূপ। দেখুন, ক্ষুদ্র জীব হোতেও কখন কখন মহৎ লোকের বিশেষ সাহায্য হয়ে থাকে, সাগর বন্ধনের সময় ক্ষুদ্র কাট্ট বিড়ালও রঘুকুলতিলক রামচন্দ্রের সাহায্য করেছিল। বজু। ই ভ। বটে, কিন্তু বিদ্যাবিনোদ হোতে আমি সাহায্যের প্রত্যাশা করি না । কেন, আমার কি সৈন্য নাই ? আর যদি বলে যে, সেনাপতির মৃত্যু হয়েছে, তারি বা চিন্তা কি ? আমি স্বয়ং যখন যুদ্ধ ক্ষেত্রে উপস্থিত হব, তখন কি অরণতিকুলের রক্ষা থাকবে ? আমার বাণ বজ্ৰ তুল্য কঠিন, ও মহাত্মা অৰ্জুনের শরের ন্যায় তীক্ষ, তবে আমার কিসের চিন্তা ? অার দেখ, এই বিদ্যাবিনোদ কুসুমকে আমার অজ্ঞাতে বিবাহ করেছে বলেই যে, কেবল তার উপর আমার রাগ, এমত নহে, সে অামারু--দ্বিতীয় মহিষীর অত্যন্ত বিদ্বেষী, অতএব সে কারণেও তার প্রাণদণ্ড করা উচিত। আমার মহিষী ও আমাতে কি কিছু প্রভেদ আছে ? এক আত্মা, দুই কলেবর মাত্র। গণে। মহারাজ ! একি কখন সম্ভব হয় । বিদ্যাবিনোদের ষেরূপ শান্ত প্রকৃতি, তাতে আমি এ কথা স্বকৰ্ণে শুনলেও বিশ্বাস করি না । বোধ হয়, মহারাজের মনকে উত্তেজিত করবার নিমিত্ত কোন শঠ ব্যক্তি এইরূপ কল্পনা করে বসেছে। অামি ভাল জানি যে, বিদ্যাবিনোদ দ্বিতীয় রাজমহিষীকে মায়ের অপেক্ষ ও মান্য করে । বজু। ভাল ভাল, তোমাকে কেউ বিশ্বাস করতে বলচে না। আমি তার যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছি, আমি তোমার কথা শুনতে চাই না, আমি এই দণ্ডে বিদ্যাবিনোদের প্রাণদণ্ড করবো। ওরে কে আছিস্ ।