পাতা:কুসুমকুমারী নাটক.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჭყ' कूष्ट्रशङ्कांद्रौ माग्नेक । এক্ষণে আমার হৃদয়ে উদয় হও। হে সাহস ! তুমি আমার শরীরের সমস্ত শিরাতে আবিভূত হও । হে ধরা ! তুমি নিস্তব্ধ হও। হে বায়ু, তুমি স্তম্ভিত হও। হেরজান ! হে নক্ষত্ৰকুল ! তোমরা সাক্ষী থাক, আমি কেবল স্বদেশের গৌরবজন্য এই দুষ্কৰ্ম্ম করতে প্রবৃত্ত হলেম। (মৃদুভাবে রাজনন্দিনীর হস্ত ধরিয়া কঙ্কণ গ্রহণ ) | ধড়ে প্রাণ এলো —এখন বিদ্যাবিনোদের দপ তো এরই দ্বারা টুর্ণ হবে। তা আমি এখন এ স্থান হতে প্রস্থান করি ৷ তয়ে আমার সকল শরীর কঁপিচে। (রাজনন্দিনীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া) হে রাক্তলক্ষ্মি । প্রতিজ্ঞাপাশে বদ্ধ হোয়ে তোমার মন্দ কর লেম, কিন্তু এতে আমার কিছুমাত্র অপরাধ নাই, তোমার প্রিয়পতিই এর মূল। [ প্রস্থান । (উৰ্ব্বশীর পুনঃ প্রবেশ । ) উৰ্ব্ব । (স্বগত) এই যে দ্বন্দুপ্রিয় এখান থেকে গিয়াছে। রাত প্রায় শেষ হয়ে এলে, সুর্য্যের আগমন কাল জেনে নক্ষত্রগণ আকাশে ক্রমে ক্রমে জ্যোতিহীন হচ্চে, আর পেচকাদি নিশাচর সকল স্ব স্ব কোটরে একে একে প্রবেশ কর চে। তবে রাজকুমারীকে এখন উঠিয়ে দিই না কেন। (কুসুমের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া) হায়! আমার আজ এমন বুদ্ধি কেনই হলো ? দ্বন্ধুপ্রিয়কে আমি ত এখানে এনেছিলেম, অর্থের লোভে অন্ধ হয়ে আমার এ কাজ করা ভাল হয় নাই, নিয়ত রাজনন্দিনীর কাছে থেকে এর প্রতি আমার এক অভেদ্য স্নেহ জন্মেছে, সেই স্নেহের স্রোত শতগুণে এক্ষণে বেগবতী হয়ে উঠলো। একে ত আমি রাজনন্দিনীর প্রতিপালিতা, তাতে আবার তিনি আমাকে অতি স্নেহ করেন, অতএব আমার এ দুষ্ট অভিসন্ধর ভিতর থাকা নিতান্ত অন্যায় হেয়েছে, কিন্তু এখন আর কি করি, গত কার্য্যের উপর মাহুষের ত হাত নাই। যদিও দ্বন্ধুপ্রিয় আমার ঘরে এখনও আছে বটে, কিন্তু সে কি পুনরায় কঙ্কণ ফিরিয়ে দেবে? আর যদি সে