( २.९ ) উপস্থিত হইল। হংস শাৰক তাহীদের রূপ লাবণ্য দর্শন করিয়া অতিশয় বিস্ময়াপল্প হইল, কারণ এভাদৃশ সুন্দর পক্ষী সে পূৰ্ব্বে কখন দেখে নাই। ভাহীদের বর্ণ অতিশুভ, গলদেশ লম্বী এবং সুচারুরূপে নিৰ্ম্মিত, দেখিলেই বোধ হয় যে ভাহার। যথার্থই রাজহংস বটে। ঐ রাজহংস সকল কিয়ৎক্ষণ পর্যন্ত তথায় অবস্থিত্তি করিয়া আপনাদিগের রীভ্যনুসারে এক প্রকার শব্দ করিতে লাগিল, পরে সমুদ্রপার হইয়। ভদপেক্ষা উষ্ণদেশে উড়িয়া গেল। তাহার। শূন্যমার্গে কত দূর উঠিল অনুভব দ্বারা ভাহার ইয়ভ। করা সুকঠিন, দুৰ্ব্বল হংস শাৰক তাহ দেখিয়া অত্যন্ত চমৎকৃত হইয়। মনে মনে বিৰেচনা করিতে লাগিল, যাহাহউক পক্ষীরা যে এত উৰ্দ্ধে উঠিতে পারে, পূৰ্ব্বে আমি কখনই এমন দেখি নাই। কুমোরের চাক বেরূপ বেগে ঘুরিতে থাকে, সেও জলমধ্যে সেইগ্নপ ঘুরিয়া ঘুরিয়া আপনার লম্বা গলাটি উত্তোলন পুৰ্ব্বক এক একবার উদ্ধে দৃষ্টি করে । তাহাদিগকে অবলোকন করিয়া দুৰ্ব্বল হংসশাবক এমনি চীৎকার করিত্তে লাগিল, ষে তাহ৷ শ্ৰৰণ করিলে, অনোর ভয় দূরে থাকুক স্বয়ং তাহাকে ভীত হইতেহয়। আহা ! ঐ সুন্দর মনোহর পক্ষী সকলকে কোন প্রকারে সে ৰিস্ফুত হইতে পারিল না, তাহারা তাহার দৃষ্টি পথাতীত হইলে, মনোহঃখে সে জলের অধোভাগে নিমগ্ন হইয়। কিয়ৎক্ষণ অবস্থিতি করিল। পরক্ষণেই মস্তকোধিত করিয়া শূন্যমার্গের পুতি দৃষ্টি করিল বটে,কিন্তু তাহদের আদর্শন হেতু একেবারে সে উন্মত্তপ্রায় হইল। কিরূপে ঐ পক্ষীগণ সেখানে
