পাতা:কুৎসিত হংসশাবক ও খর্ব্বকায়ার বিবরণ.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(२१ ) রাজহংস ঝোপের মধ্য হইতে বহির্গত হইয়। পাখা নাড়িতে নাড়িভে তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইল। থালের জল নিৰ্ম্মল দেখিয়া ভস্তুপরি তাহার, সুচারুরূপে সন্তরণ করিয়া বেড়ায় । হংসশাবক তাহাদিগকে চিনিতে পারিয়া বিবেচনা করিল, পুৰ্ব্বে আমি যে সকল পক্ষি দেখিয় মনোমধ্যে ক্ষুব্ধ হুইয়াছিলাম, যাহাদের রূপ অদ্যাবধি আমার মনোমধ্যে জাগরূক হইয়া আছে, কি ভোজন, কি শয়ন, কি স্বপ্ন, অনুক্ষণ যাহাদিগকে আমি চিন্তা করিয়। থাকি, বোধ করি ইহা তাহারাই হইবে । * হৎ সশাৰক আরও কহিল, আমি নিজে অতি কুৎসিত জন্তু, উহাদিগের নিকট গমন করিলে কি জানি উহার। আমাকে চঞ্চুদ্ধার, ঠোকর মারিয়। 'প্ৰাণৰপ করিলেও করিতে পারে, কিন্তু তাহাতে ক্ষতি নাই, প্রাণে • মরি তাহা ও স্বীকার, তথাপি আমি একবার ঐ সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ পক্ষি দিগের নিকটে উড়িয়া যাইব । আহা ! ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সামান্য হংসের আমাকে দেখিলে চঞ্চুঘাত করে, জঘন্য কুক দীরাও আমাকে প্রহার করিয়া থাকে । ষে বালিক গৃহ পালিত পক্ষি দিগকে অহার দেয়, সেও আমার প্রতি নিষ্ঠুর হইয়। নানা প্রকারে ভ।ভূনা করিতে কিছুমাত্র ক্রটি করে না । আহারাভাবে ক্লিষ্ট হইয়া জল মধ্যে কালষাপন করত আমি বন্ধু • কন্টভোগ করিতেছি, ইহা অপেক্ষ ঐ শ্বেতবর্ণ রাজংসের। যদি আমাকে প্রাণে মারিয় ফেলে, তাহা ও অামার পক্ষে মুখের বিষয়, বরং উহাকে আমি শ্লাঘা করিয়া মানি । এই রূপ নানাবিধ চিস্ত করণীনস্তর