বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS) কৃষিতত্ত্ব । মূল হইতে স্বভাবতঃ যে চারা জন্মে, সেই চারা যত্ন করিয়া রোপণ ও রক্ষা করিলেই হইতে পারে। ইহা পাকমসলা । ইহার গুণ-কটুত্ব, তিক্তত্ব, উষ্ণত্ব, লঘুত্ব, শ্লেষ্মনাশিত্ব, কৃমিহৃদ্রোগহরত্ব, রুচিকর তত্ব, শুক্রনিশিত্ব । i ta a je ti ga i কন্দবৰ্গ। পিণ্ডালুক । গোল আলু অথবা বিলাতি আলু। কঠিন ও খিয়ার মৃত্তিকাতে ইহার আবাদ হয় না। নূতন পলিপড়া হালক। মৃত্তিক ইহার জন্য প্রশস্ত। তথায় বিনা সারে ও উৎপন্ন হয়। দোয়াস মৃত্তিকাতেও আবাদ করিতে হইলে সারা দেওয়া আবশ্যক হয়। সাধারণতঃ গোময়ের সারই ব্যবহার হইয়া থাকে। গোময়ের সার, পচা পাতা ইত্যাদির সার, চুণ, বালি, অস্থিচূর্ণ একত্র মিশ্রিত করিয়া দিলে বিশেষ উপকার হয় । এক্ষণে বঙ্গদেশের বহু স্থানে ইহার অধিক আবাদ হইতেছে, প্রেসিডেন্সি বিভাগে এবং কুমিল্লা, সুধারাম, রঙ্গপুর, জলপাইগুড়ি, দারাজিলিঙ প্ৰভৃতি স্থানে অত্যধিক আবাদ হয়। যে সকল স্থানে ভাদ্র মাস হইতে বৃষ্টি হয় না, সেই সকল স্থানে ঐ মাস হইতে বীজ রোপণ করা যাইতে পারে। আশ্বিনের শেষ হইতে কাৰ্ত্তিক মাসই বীজ রোপণের উপযুক্ত সময় । বিদেশীয় আলুর বীজ এক বিঘাতে ত্রিশ সেরের অধিক আবশ্যক হয় না। সেই সকল বীজে যে আলু উৎপন্ন হয়,তাহ অতিশয় বড় হয়। দেশীয় আলুর মধ্যম প্রকারের আলুই বীজের পক্ষে উত্তম। ইহা এক বিঘাতে অনু্যন দুই মণ বপন করিতে হয়, ইহাতেও আলু ভাল জন্মে। এদেশে প্রায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলু বীজের জন্য ব্যবহার করে। ইহা এক বিঘাতে চারি মণেরও অধিক আবশ্যক হয়, ইহাতে আলুও ছোট ছোট উৎপন্ন হয়। বড় বড় বীজের চোখ কাটিয়া রোপণ করিলেও চারা উদগত হয়, কিন্তু অখণ্ড বীজই প্ৰশস্ত। বিদেশী বীজের অপ্ৰাপ্তি স্থলে দেশীয় লম্বা আকৃতি তিন চারিটী চোখযুক্ত মধ্যম