পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিতত্ত্ব । N O Gok কেবল যশোহরের মান কচু এক বৎসরের মধ্যেই তোলা যাইতে পারে। অন্য প্রকার মান অনূ্যন দুই বৎসরের পর উঠান কৰ্ত্তব্য। চারি পাঁচ বৎসরের পরে উঠাইলে অধিক বড় হয়। ইহার উত্তম তরকারী হয় । ইহার গুণ-সুস্বাদুত্ব, শীতত্ব, গুরুত্ব, শোথহরত্ব, কাঁটুত্ব । bumbu বঁাশ পোর, বাশপোল, শোলাকচু। ইহা দোয়াস ও পলি মৃত্তিকাতেই উত্তম জন্মে। ক্ষেত্রে সার দেওয়া কৰ্ত্তব্য । বর্ষা সময়ে যে স্থানে এক অথবা দেড় ফুট পরিমাণ জল থাকে, সেই স্থানে ইহা রোপণ করিতে হয়, উচ্চ ভূমিতে হয় না । যশোহর, রঙ্গপুর, দিনাজপুর, বগুড়া প্ৰভৃতি জেলায় ইহার কিঞ্চিৎ অধিক আবাদ হয়, অন্যত্ৰ আতি অল্প মাত্র আবাদ করে। ইহারও মুখ কৰ্ত্তন করিয়া রোপণ করিলে উত্তম হয়। ইহার শিকড় হইতে যে চারা জন্মে তাহাই অধিক পরিমাণে রোপণ করা যাইতে পারে । কচু তুলিয়া লইবার পর শিকড় হইতে চারা উৎপন্ন হয়। শ্রাবণ ভাদ্র মাসেই চার জন্মে । অগ্রহায়ণ ও পৌষ এই দুই মাস চারা রোপণের সময় । মাঘমাসেও রোপণ করা যাইতে পারে। ক্ষেত্ৰ গভীর করিয়া কৰ্ষণাদি করিতে হয়। ঢোল ভাঙ্গিয়া ঘাস মুথা আদি বাছিয়া ক্ষেত্র সমতল করিয়া রোপণ করিবে। দেড় ফুট অন্তর এক এক শ্রেণী করিয়া এক শ্রেণীতে দেড় ফুট অন্তর এক একটী চারা রোপণ করিবে । ক্ষেত্ৰ নিয়ত পরিষ্কার রাখিতে হয় । ক্ষেত্রে জল রক্ষার জন্য উচ্চ আলি বান্ধা কৰ্ত্তব্য। ক্ষেত্রে আবাদ করিবার সুবিধা না হইলে বাটীর নিকটস্থ কোন নিম্নস্থানে উক্ত প্ৰণালীতে চারা রোপণ করিয়া যত্ন করিলে ক্ষেত্র অপেক্ষা উত্তম জন্মে এবং নিজ নিজ প্ৰয়োজনীয় কাৰ্য্য নির্বাহ হয় । জ্যৈষ্ঠের শেষ হইতে আশ্বিন মাস পৰ্য্যন্ত ইহা খাবার যোগ্য হয়। প্ৰয়োজন মত বড় বড় দেখিয়া বাছিয়া উঠাইবে । ইহার প্রতিবৎসর আবাদ করিতে হয়। উত্তম তরকারি। মুখ ধরে না । ( 8 )