কৃষিতত্ত্ব । لسنا ما لا কিন্তু সুস্বাদু হয়। ইহার ক্ষেত্রে অধিক পরিমাণে সার দেওয়া কৰ্ত্তব্য । কঠিন মৃত্তিকাতে ইহা উৎপন্ন হয় না। প্ৰায় সৰ্ব্বত্রই ইহার আবাদ হয়। তবে বগুড়া জেলাতে কিছু অধিক জন্মে। দুই তিন বৎসরের পুরাতন বীজেই মূল উত্তম জন্মে। এক কাঠা ভূমিতে অৰ্দ্ধ পোয়া বীজের অধিক বপন করিতে হয় না । শ্রাবণ মাসের শেষ হইতে কাৰ্ত্তিক মাস পৰ্য্যন্ত বীজ বপনের সময় । ক্ষেত্ৰ উত্তমরূপে চাষ করিতে হয়। লাঙ্গল দ্বারা মুক্তিকা গভীর করিয়া কৰ্ষণ করিবে এবং ঘাস মুথ্যাদি বাছিয়া ফেলিবে । ঢেলা ভাঙ্গিয়া মই টানিয়া ক্ষেত্র সমতল এবং মৃত্তিক চুৰ্ণবৎ করিয়া বীজ বপন করিবে, তদনন্তর পাতলা করিয়া মই টানিবে । অন্ধুরোদগম হইয়া চার ছয় ইঞ্চি পরিমাণে উচ্চ হইলে একবার নিড়াইবে এবং মুলার, চারাও অনেক উঠাইয়া পাতলা করিয়া দিবে। সময়ে সময়ে নিড়াইয়া ক্ষেত্র পরিষ্কার রাখিবো। . গাছ ঘন থাকিলে মধ্যে মধ্যে শাকের নিমিত্ত উঠাইয়া লইবে । এক এক ফুট ব্যবধানে এক একটী গাছ থাকিলে ভাল হয়। নীচের মৃত্তিক খনন করিয়া আলগা রাখা কৰ্ত্তব্য এবং গাছের গোড়ার পত্র কতক কতক ভাঙ্গিয়া দেওয়া উচিত। মূলার গাত্রে সূক্ষ্ম যে সকল শিকড় হয় অঙ্গুলি দ্বারা মৃত্তিকা আলগা করিয়া সেই সকল শিকড় ছিড়িয়া দিবে। মৃত্তিকাতে রস না থাকিলে জল দেওয়া কৰ্ত্তব্য। বপনের অগ্র পশ্চাৎ অনুসারে কাৰ্ত্তিকমাস হইতে খাবার যোগ্য মূলা উত্তোলন করা যাইতে পারে। বিশেষ যত্ন পূৰ্ব্বক আবাদ করিলে এক একটী মূল দুই ফুটের অধিক দীর্ঘ এবং তদুপযুক্ত স্থূল হয়। মাঘমাসে এবং চতুর্থী তিথিতে হিন্দুদিগের ইহা ভক্ষণীয় নয়। অণ্ডমূলক । আণ্ডামূলা, রেডিস। 弘 ইহা এদেশীয় নহে। এক্ষণে অনেক স্থানে অল্প অল্প আবাদ হইতেছে।
