পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিতত্ত্ব । δεδο বিক্রর করিতে হয়। নতুবা কাৰ্ত্তিক মাসে চারা বহির্গত হইয়া নষ্ট হয়। ইহা ব্ৰাহ্মণের ভক্ষণীয় নয়। umprir ক্ষুপবৰ্গ । বাৰ্ত্তাকু, বাৰ্ত্তাকী । বেগুন, বা গুন । ইহা পলি এবং দোয়াস মৃত্তিকাতে উত্তম হয়। কঠিন এবং খিয়ার মৃত্তিকাতে ইহার আবাদ করা আকৰ্ত্তব্য। কারণ ফল নিতান্ত ক্ষুদ্র হয়। অত্যধিক বালির ভাগ যে স্থানে সে স্থানেও ইহা আবাদ করা যায় না । ফলতঃ সসাের সরস সমভাগ দোয়াস মৃত্তিকা ইহার নিমিত্ত প্রশস্ত। সার না দিলে উৎকৃষ্ট ফল হয় না। এজন্য ক্ষেত্রে সার দেওয়া অবশ্য কৰ্ত্তব্য । বঙ্গ দেশের প্রায় সৰ্ব্বত্ৰেই ইহার আবাদ হয়। মুর্শিদাবাদ, বগুড়া ও রাজসাহী প্ৰভৃতি প্রদেশে যে বাৰ্ত্তাকু উৎপন্ন হয় তাহা বিশেষ সুস্বাদু। ইহা নানা জাতীয় । দীর্ঘাকার, গোলাকার সাদাফলা ( বারমেসে ) কৃষ্ণবর্ণ ও শ্বেতবর্ণ। জাতি ভেদে বীজ বপনেরও ভিন্ন ভিন্ন সময় । সাধারণতঃ আষাঢ় মাস হইতে কাৰ্ত্তিক মাস পৰ্য্যন্ত বীজ বপন করা যায়। বারমেসে ৰাৰ্ত্তাকুর বীজ আশ্বিন কাৰ্ত্তিক মাসে বপন করিয়া চার জন্মাইতে হয়। অন্য প্রকার বেগুনের বীজ আষাঢ় শ্রাবণ আশ্বিন ও কাত্তিক বপনের সময় । শীতকালে যে বাৰ্ত্তাকুর অধিক ফল হয় সৰ্বত্ৰেই সেই বাৰ্ত্তাকুর অধিক আবাদ হইয়া থাকে। এবং অনেক স্থানে বারমেসে বেণ্ডনের আবাদও বিস্তর হয় । প্রথমতঃ এক স্থানে চার জন্মাইয়া পরে ক্ষেত্রে সেই চারা রোপণ করিতে হয়। চার জন্মাইবার প্রণালী এই, বাটীর কোন এক স্থানে ( যে স্থানের মৃত্তিকা উত্তম) অতি অল্প ভূমি খনন করিয়া মৃত্তিকা ধূলিবৎ চুৰ্ণ করিবে এবং প্ৰয়োজন মত সারা দিয়া তাহাতে বেগুনের বীজ বপন করিতে হইবে। বীজ অনু্যন দুই ঘণ্টা জলে ভিজাইয়া বপন করিলে শীঘ্ৰ অস্কুরোদগম হয়। অন্ধুরোদগম হইবার পূর্ব পৰ্যন্ত প্রতি দিবস সন্ধ্যার সময় অল্প পরিমাণে জল