কৃষিতত্ত্ব । S RA শ্রাবণ মাসের শেষাৰ্দ্ধ অথবা ভাদ্র মাসের প্রথমাৰ্দ্ধে সেই স্থান খনন করিয়া মৃত্তিকা আলগা এবং ধূলিবৎ চুৰ্ণ করিয়া ঘাস জঙ্গল মুত্থাদি বাছিয়া পরিষ্কার করিবে ঐ স্থান সমতল করিয়া এরূপে কয়েকটা নালা কাটিবে যে তাহা দ্বারা জল নিৰ্গম হইতে পারে অথচ সার ধৌত হইয়া দূরে না যায়। তদনন্তর বীজ বপন করিয়া একখানি পাতলা কাষ্ঠের দ্বারা বীজ যাহাতে সকল স্থানে সমভাবে পতিত হয়। এরূপ করিয়া টানিবে। উহার উপর পলাল অথবা চুৰ্ণ খড় যথা পরিমাণে দিয়া আচ্ছাদিত করিবে। ঐ স্থানে ঘাস তৃণ আদি অস্কুরিত হইলে তাহা তুলিয়া ফেলিতে হয় । যত দিন বৃষ্টি হইবার আশঙ্কা থাকে তত দিন ঐ ঋড় উঠান কৰ্ত্তব্য নয়। সচরাচর ভাদ্র মাসের শেষ পৰ্য্যন্ত খড় রাখিতে হয়। ঐ স্থানের মৃত্তিকা যখন নীরস দেখিবে তখনই ঐ খড়ের উপর অল্প পরিমাণে জল দিয়া মৃত্তিক সরস রাখিবে। এই প্রকারে উৎপন্ন চারা ছয় ইঞ্চি উচ্চ হইলে তুলিয়া ক্ষেত্রে রোপণ করিতে হয়। ক্ষেত্ৰ প্ৰস্তুত করণ । ভাদ্র মাসের প্রথম হইতে ক্ষেত্রে চাষ দিতে থাকিবে । হালকা মৃত্তিক অনূ্যন বার বার, কঠিন মৃত্তিক অনূ্যন বিশ বার উত্তমরূপে চাষ করিতে হয়। প্ৰতি মাসেই ক্ষেত্রে সার দিবে। এইরূপে বার মাসই প্ৰতি চাষে সার দিতে হয়। লাঙ্গল দ্বারা অধিক গভীর করিয়া ভূমি কর্ষণ করিবে। ঘাস জঙ্গল মুথ্যাদি বাছিয়া ঢেলা ভাঙ্গিয়া চূৰ্ণবৎ করতঃ ক্ষেত্র সমতল করা অবশ্য কৰ্ত্তব্য । কাৰ্ত্তিক মাস চারা রোপণের প্রশস্ত সময় । আশ্বিনের শেষাৰ্দ্ধ ও অগ্রহায়ণের প্রথমাৰ্দ্ধেও রোপণ করা যাইতে পারে । তিন ফুট ব্যবধানে শ্রেণি করিয়া এক এক শ্রেণিতেও তিন তিন ফুট অন্তর এক একটা চারা রোপণ করিতে হয়। ঐ প্রকারে চারা রোপণের চরি৷ পাচ দিবস পর, হস্ত দ্বারা লাঙ্গল ধরিয়া ক্ষেত্রে টানিয়া মাত্তিকা আলগা করিতে হইবে। এই কাৰ্য্য অতিশয় সতর্ক হইয়া করা। কৰ্ত্তব্য। গাছের গোড়ার মাত্তিকা আলগা না হয়। অথচ ক্ষেত্রের
পাতা:কৃষিতত্ত্ব - নীলকমল লাহিড়ী.pdf/১৩৭
অবয়ব